চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ঈশানবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষিকা শহর বানুর সাথে একই স্কুলের অফিস সহকারী (দপ্তরী) মো. আসাদুল্লার ‘পরকীয়ার’ জেরে বুধবার (২২ জুন) রাতে স্ত্রীকে ‘হত্যা’ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
আসাদুল্লাহ তার ঘুমন্ত স্ত্রীকে বাড়ির পাশে নিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে পিটিয়ে আহত করে এবং মুখের ভিতর মাটি দিয়ে মৃত ভেবে বাড়ির পাশে ফেলে দেয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ভোরে এলাকবাসী মুমূর্ষু লুৎফা বেগম (৩৫) কে উদ্ধার করে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে।
স্থানীয় পুলিশ ফাড়িঁর সহাতায় আহতের স্বামী অফিস সহকারী আসাদুল্লাকে আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, ‘হাইমচর উপজেলার ঈশানবালা গ্রামের ৩ সন্তানের জনক আসাদুল্লাহ ঈশানবালা সপ্রাবিতে দপ্তরী (অফিস সহকারী) হিসেব চাকরি করে। একই স্কুলের খন্ডকালীন শিক্ষক সেলীকা শহর বানুর সাথে পরকীয়া সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে স্ত্রীর সাথে ৬মাস ধরে কলহ চলছিল। গত ৩/৪ দিন হতে আসাদুল্লাহ বাড়ির বাহিরে রাত কাটাতো। স্বামী বাড়ির আসার অপেক্ষা স্ত্রী ঘরের দরজা না আটকিয়ে ঘুমাত । গত ২২ জুন বুধবার গভীর রাতে আসাদুল্লাহ ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত স্ত্রীকে হাত-পা মুখ বেধে সহযোগীর সহায়তায় বাড়ির পাশে এনে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য মুখের মধ্যে মাটি ঢুকিয়ে দেয়। ভোরে স্থানীয় মেম্বার খলিল মাতাব্বর ও আ. রব হাওলাদারের সহায়তায় মুমূর্ষু লুৎফা বেগম হাসপাতলে ভার্তি করায়।
হাসপাতালে মায়ের পাশে থাকা মেয়ে তাহমিনা আক্তার এ প্রতিনিধিকে তার মায়ের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দেয়।
এ সর্ম্পকে ইশানবালা সপ্রাবি’র সভাপতি মো. ইয়াছিন মাস্টার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। শিক্ষিকার সাথে দপ্তরী পরকীয়া জানার পর আমরা শিক্ষিকাকে রোজার পূর্বেই বাদ দিয়েছি।’
এ ব্যাপারে হাইমচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.ফারুক চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমরা মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত স্বামী আটক আছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।’
প্রতিবেদক- বি এম ইসমাইল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, হাইমচর