মতলব দক্ষিণ উপজেলার ১৩৫ নং বকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রাবেয়া আক্তারকে শোকজ করেছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল চাঁদপুর টাইমসসহ স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় ‘বকচর সপ্রাবি’র সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্কুলে অনুপস্থিতির অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকাকে ৩ দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোখলেছুর রহমান।
এদিকে শিক্ষিকা রাবেয়া আক্তারকে রক্ষা করতে শিক্ষা অফিসসহ শিক্ষক নেতারা তৎপর হয়ে পড়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, অভিযুক্ত শিক্ষিকা রাবেয়া ৫ দিনের অনুপস্থিতি বিষয়টি মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখিয়ে অনুপস্থিতিকে বৈধ করার চেষ্টা করছে শিক্ষা অফিসসহ শিক্ষক নেতারা।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষ মো. শাহ আলম ও সহকারী শিক্ষকা ফাতেমা আক্তার উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোখলেছুরর রহমানের নিকট অভিযুক্ত শিক্ষিকা রাবেয়া আক্তারের ৫ দিনের অনুপস্থিতিরি সত্যতা স্বীকার করলেও তাঁদের মাধ্যমেই রাবেয়া আক্তারকে রক্ষা করতে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিময় হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ, সহকারী শিক্ষিকা রাবেয়া আক্তারকে একের পর এক অনুপস্থিতির কারণে একাধিকবার সতর্ক করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম মিয়াজী। কিন্তু তারপরও ওই শিক্ষিকা কোন ছুটি না নিয়ে ৫ দিন অনুপস্থিত থেকে সবাইকে ম্যানেজ করে অনুপস্থিতিকে বৈধ করে নিচ্ছে। তাহলে ওই শিক্ষিকার খুঁটির জোর কোথায়?
গত ২৫ মে বিদ্যালয় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সহকারী শিক্ষিকা রাবেয়া আক্তার অনুপস্থিত। বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষকের মধ্যে ২ জন উপস্থিত এবং ২ জন অনুপস্থিত।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধাণ শিক্ষক মো. শাহ আলম জানান, রাবেয়া আক্তার ৫ দিন যাবৎ বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছে। সে কোনো ছুটিও নেয়নি। অপর শিক্ষক শিশির কুমার নন্দী ডিপিএড ট্রেনিংয়ে রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোখলেছুর রহমান জানান, ‘পত্রিকায় শিক্ষিকা রাবেয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হলে অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে শোকজ করা হয় এবং ৩ দিনের মধ্যে শোকজের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।’
এ সংক্রান্ত পূর্বের নিউজ…
প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিক, মতলব দক্ষিণ
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৯ : ৫০ পিএম, ২ জুন ২০১৭, শুক্রবার
এইউ