জাতীয়

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর ৭ নির্দেশনা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দু সপ্তাহের বেশি যৌক্তিক কারণ ছাড়া অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর তথ্যাদি নিয়মিত পরিবীক্ষণ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে এটিসহ প্রধানমন্ত্রী মোট ৭ টি নির্দেশনা দিয়েছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ফরিদ আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব নির্দেশনা জানানো হয়। একই সঙ্গে নির্দেশনা বাস্তবায়নে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং প্রতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন আকারে পাঠাতে বলা হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি অভ্যন্তরীণ আদেশ জারি করেছে। এতে কর্মপরিকল্পনা ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আখতার -উজ-জামান জানান, ২২ আগস্টের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য ৬টি অধি-শাখাকে নির্দেশ দেয়া হয়। শাখাগুলো হচ্ছে- বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ১ ও ২, কারিগরি, মাদ্রাসা এবং কলেজ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমরা পেয়েছি। সে অনুযায়ী আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি। আপনারা জানতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার মধ্যে আছে- সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শ্রেণীর মাদ্রাসায় নিয়মিত ও বাধ্যতামূলকভাবে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, খেলাধুলা, স্কাউটিং ও সময়ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল কর্মকান্ডভিত্তিক প্রতিযোগিতার আয়োজন নিশ্চিত করা।

কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দু’ সপ্তাহের বেশি সময় যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে তার তথ্যাদি নিয়মিত পরিবীক্ষণ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অভিভাবক-শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী সমন্বয়ে অভিভাবক সমাবেশ আয়োজন করা।

নিয়মিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন নিশ্চিত করাসহ দৈনন্দিন প্রাত্যহিক সমাবেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী কাউন্সেলিংয়ের উদ্যোগ নিতে হবে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী নিয়মিত অ্যাডভোকেসির উদ্যোগ নেয়া।

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, মাদকতা ইত্যাদি প্রতিরোধে ছাত্রছাত্রীদের করণীয় ও বর্জনীয় এবং শিক্ষক-অভিভাবকদের করণীয় নির্ধারণ করে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিলবোর্ড আকারে দৃশ্যমান স্থানে টানানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে আদর্শগতভাবে মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মকৌশল প্রণয়ন করে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কারিকুলামসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার কারিকুলাম যাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশাত্মবোধ সৃষ্টির উপকরণ থাকেশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর ৭ নির্দেশনা। শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে উৎসাহিত হওয়ার কোনো উপকরণ না থাকলে তা’ নিশ্চিত করতে হবে। কারিকুলামে মানবিকতা বোধ সৃষ্টির উপাদান সংযুক্ত করাসহ শিক্ষার বিভিন্ন ধারাগুলোকে যতদূর সম্ভব একীভূত করার উদ্যোগ নিতে হবে।

নিউজ ডেস্ক ।।আপডটে, বাংলাদশে সময় ৭:২০ পিএম,১১ আগস্ট ২০১৬,বৃহস্পতিবার
এইউ

Share