করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান ছুটি অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
ভার্চুয়াল এই বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী, উপমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংযুক্ত আছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ছাড়াও করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের টিকা দেওয়ার অগ্রগতি এবং শিক্ষার ক্ষতি পোষানোর সম্ভাব্য কৌশল নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির মতামতের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে করণীয় নির্ধারণ করা হবে। দীর্ঘ সময় এই বৈঠক চলবে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত শনি অথবা রোববার সংবাদ সম্মেলন করে জানাবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
জানা গেছে, সংক্রমণের হার ৭-৮ শতাংশ থাকলেও খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরইমধ্যে মাঠপর্যায়ে স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষকে যে কোনো সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে ক্লাস চলবে, সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল খুলে দিতে তোড়জোড় শুরু করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা দিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে অক্টোরব নাগাদ হলগুলো সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হতে পারে।
আর স্কুল-কলেজে শুরুতে এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সপ্তাহের ছয় দিন ক্লাস করবে। অন্যান্য শ্রেণির ক্লাস সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন হতে পারে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের বৈঠকে খোলার সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এ ব্যাপারে রূপরেখা দেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।