শিক্ষা জীবনের সময়কে মূল্যায়ন করতে হবে: ইউএনও
“শিক্ষা জীবনের সময়টাই হলো নিজের ভবিষ্যৎ গঠনের সেরা সুযোগ। এই সময় যদি সঠিকভাবে কাজে না লাগানো হয়, তাহলে জীবনের বাকি সময়টা অনুশোচনায় কাটাতে হতে পারে”— এমন বার্তা দিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দিয়েছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক সুলতানা রাজিয়া।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ‘আদর্শ একাডেমির’-এর কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন ইউএনও সুলতানা রাজিয়া। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া তার বক্তব্য ছিল সময়ানুগ, বাস্তবভিত্তিক এবং উদ্বুদ্ধমূলক।
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অনেক শিক্ষার্থী বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে মোবাইল ফোনসহ নানা ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে অতিমাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অভিভাবকরা কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে সন্তানদের শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছেন, যাতে তারা ভবিষ্যতে নিজের পরিবার ও দেশের জন্য অবদান রাখতে পারে। শিক্ষা জীবনের এই মূল্যবান সময় যদি অলসতা ও ফাঁকিবাজিতে নষ্ট করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে সময় পেলেও তা আর কাজে লাগানো যাবে না।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা যদি এখন থেকেই নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করে পরিশ্রম করো, তাহলে সফলতা তোমাদের দোরগোড়ায় এসে দাঁড়াবে। সৎ, নীতিবান এবং মানবিক মানুষ হওয়াই প্রকৃত শিক্ষা।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মান্নান খান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর চাঁদপুর জেলা আমির মাওলানা মো. বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইউনুছ হেলালী, উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন,ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ পাঠান, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ফরহাদ।
এছাড়াও স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণিতে কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা জানানো হয়। ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ (A+) প্রাপ্ত ৬ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। ২০২৪ সালের বৃত্তিপ্রাপ্ত ২৭ জন শিক্ষার্থীকে নগদ অর্থ ও সনদপত্র দেওয়া হয়। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়।
বিদ্যালয়ের পরিবেশে তখন ছিল উৎসবমুখর ও উদ্দীপনাময় দৃশ্য। শিক্ষার্থীদের মুখে ছিল আনন্দের হাসি এবং অভিভাবকদের চোখেমুখে সন্তুষ্টির ঝিলিক।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান/ ৪ আগস্ট ২০২৫