ছবি কথা বলে। ছবিতে অনেক কিছু অনুধাবন করা যায়। তবে অনুধাবন পরবর্তী প্রতিক্রিয়াও সবার একরকম হয় না। এ ধরনের একটি ছবি চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে থেকে ধারণ করে একজন পাঠক চাঁদপুর টাইমসকে পাঠিয়েছেন।
শহর অংশে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে চেয়ারম্যানঘাটা এলাকায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সাইনবোর্ড না থাকলে হয়তো সাধারণদের কাছে এটি বড়সড়ো ডাস্টবিনই মনে হতো। কিন্তু অফিসটি থাকাতেই এ ময়লার স্তুপ নিয়ে অভিযোগ অনেকেরই।
শহরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানেই মিনি ডাস্টবিন থাকলেও খোদ বড়সড়ো ময়লার ময়লার স্তুপ ও জলাবদ্ধতার শিকার এখন চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
চাঁদপুরে যে প্রতিষ্ঠানটি থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়, সরকারি ছুটির দিন ব্যাতিত প্রায়ই শিক্ষকদের আনাগোনা দেখা যায় সে অফিসটির সামনের অংশ এখন যেনো ডাস্টবিন।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জলাবদ্ধতা ও ময়লা আবর্জনার স্তুপে থেকে চরম দুর্গন্ধে অফিস করছেন।
ময়লার আবর্জনার স্তুুপের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া এক পথাচারী প্রতিবেদককে দেখে বললেন, ‘রাস্তার মধ্যে থেকে এমন দুর্গন্ধ আমরা নাকে টিপ দিয়ে হাটি, ওনারা (শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা) কিভাবে অফিস করেন?’
সম্প্রতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগের মাত্রায় আরো একধাপ যোগ হয়েছে। একটু বৃষ্টিতেই প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনের চত্ত্বরে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে গেছে। চলাচল করার জন্য আপাতত কাঠের টেবিল রেখে যাতায়াত করছেন অফিসরে লোকজন।

একটু বৃষ্টিতে চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে জলাবদ্ধতা, টেবিলের কাঠ দিয়ে পারাপার….
পার্শ্ববর্তী পুকুর গুলো ময়লা আবর্জনায় ভরাট হওয়ায় সামন্য বৃষ্টি হলেই এখন অফিসের সামনে জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে রূপ নেয়। সেখানকার পরিবেশ এতোটাই নোংরা কোন লোকজন ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে সেখানে দাঁড়াতে পারে না।
শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিবছর জলাবদ্ধতার কারনে আমাদের কষ্ট ভোগ করতে হয়। সামনের ডোবাগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হওয়ার কারনে বৃষ্টির পানি আটকে থাকে। কয়েক দিনের অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় জলাবদ্ধতা আরো বেড়ে গেছে। এতে করে অফিসে আসা বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষকরা ভেতরে যেতে পারছেন না।
এ ছাড়া সামনে একটি পুকুর ছিলো সেখানে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে ক’জন ব্যবসায়ী মাগুর মাছ চাষ করতো। কিন্তু বিগত কিছু দিনের মধ্যে সেখানে ডাবের খোসা সহ বিভিন্ন আবর্জনা ফেলে পুকুরটি ভরাট করে ফেলে সেখানকার লোকজন। যার ফলে পুরো শিক্ষা অফিসের সামনের পরিবেশটি নষ্ট হয়ে গেছে।’
চাঁদপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে যদি এর কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে জেলা শিক্ষা অফিসের সৌন্দর্য অক্ষুন্ন থাকবে না বলে মনে করেন শহরবাসী।
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৫:০০ পিএম, ১১ জুন ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ