ইসলামিক ফাউন্ডশন চাঁদপুরের আয়োজনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ এবং,সামাজিক সমস্যা নিরসন শীর্ষক প্রশিক্ষন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে প্রশিক্ষন কর্মসূচীতে অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক সার্বিক বশির আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রসাশক কামরুল হাসান।
তিনি বক্তব্যে বলেন, আমাদের আজকের প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর মাধ্যমে আমরা সকল সমস্যা দূর করার জন্য কাজ করবো। আমরা প্রত্যাশা করি যখন আপনারা বয়ান করবেন তখন সব বিষয় নিয়ে ধর্মীয়, অনুশোচনায় বয়ান করবেন। সামাজিক সমস্যা হলো যে পলিথিনে খাবার এনে খাচ্ছি তা কি মান সম্মত। এক সময় মা পুরনো প্যান্ট বা চটের বস্তা কেটে ব্যাগ তৈরি করে দিত। সেই ব্যাগ নিয়ে বাজার করতেন। এখন কি ব্যাগ নিয়ে বাজারে যান? বাজারে খালি হাতে যান, দোকানি পলিথিনে পণ্য দেয় তা নিয়ে আপনি বাসায় চলে আসেন। সেই পলিথিন যত্রতত্র ফেলে আমরা পরিবেশের ধ্বংস করছি। আপনারা যারা শিক্ষক আছেন তারা শিক্ষার্থীদের কে মোবাইল ফোনের ডিভাইস সম্পর্কে বুঝাবেন। আমাদের সন্তানদের কে বুঝাতে হবে সবসময় সত্য কথা বলবো, সবসময় সৎ পথে চলবো। মোবাইল ও ফেইসবুক যেন না ব্যবহার করে তা বুঝাতে হবে। আপনারা ইমাম নন হাসান ইমাম। এখানে যারা আছেন তারা অনেকেই আমার কথা শুনেন নি। জঙ্গিবাদ হলো আবর্জনা। আমাদের সমাজ থেকে এ আবর্জনা ঝেরে ফেলে দিতে হবে। সকল সমস্যা নিয়ে আমাদের কথা বলতে হবে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, সকল মসজিদে যদি ইফার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম করা হতো তা হলে ইফার সুনাম বৃদ্ধি পেত। ইফার বার্তা গুলি দ্রুত ছরিয়ে দেয়া যেতো। আমরা বিশ্বাস করি ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। যখন শিশু হত্যা, সতি হত্যে করা হতো আর তখনই সকল হানাহানি বন্ধ হয়। আমাদের নবী অনেক, আমরা নিজেদের কে মুসলিম বলে দাবী করি। বর্তমান সরকার ও শেখ হাসিনা কি ইসলামের জন্য কিছু করে নাই। সে গুলো মনে রাখতে হবে।সমাজের হানাহানি বন্ধ হবে আমরা যদি সঠিক ভাবে বা আমাদের ইমানকে যদি সঠিক না রাখি। অনেক ব্যাক্তি আছে হজ্বে যাবার জন্য বিমান বন্দর থেকে ও ফিরে আসতে হয়েছে। তার কারণ আল্লাহ কবুল করেনি। মাদ্রাসার শিক্ষকরা এ সরকারের আগের সরকারের আমলে রাজ্স্ব খাতে ছিল না। শেখ হাসিনা রাস্ট্র ক্ষমতায় আসার পর আপনাদেরকে রাজস্ব খাতে এনেছে। আপনারা যদি সত্য কথা না বলো তাহলে একদিন সৃষ্টিকর্তার কছে জবাব দিতে হবে। যারা প্রবাগান্ধা ছড়ায় তাদের রুখতে হবে। আপনারা ন্যায়ের কথা বলবেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলবেন। আমাদের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। জুম্মার নামাজে খুদবা পাঠ করা হয়। সেখানে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ এবং সামাজিক সমস্যা নিরসন সম্পর্কে আলোচনা করবেন। সামাজিক সমস্যা এখন আবার অনেকটা বেরেছে। ওজনে কম দেয়া এবং অন্যের জমি দখল করা এগুলো বান্দার হক, এগুলো সামজিক সমস্যা। খোদবায় আপনারা এগুলো বলেন তাহলে সামাজিক সমস্যা দূর হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ইয়াসিন আরাফাত, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম পাটোয়ারী দুলাল,চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এ এইচ আহসান উল্যাহ, ইমাম সমিতির সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান গাজী, ইমাম আবু বকর বিন ফারুক। মোজাম্মেল হোসেন।স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের উপ পরিচালক রুহুল আমিন।
প্রতিবেদক: মাজহারুল ইসলাম অনিক, ১৩ জুন ২০২৩