শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনের জন্য শিক্ষাই মূল হাতিয়ার। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যে চ্যালেঞ্জগুলো আছে, সেগুলো মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী দুদিক থেকেই আমাদের ঘাটতি রয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসা করার সুযোগ দিতে হবে। তারা যেন অনুসন্ধিৎসু হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীদের মুখস্থ নির্ভর না হয়ে বাস্তব ও প্রায়োগিক দিকে আগ্রহী করে তুলতে হবে। শুধু পরীক্ষায় নম্বর পাওয়ার জন্য না বরং যা শিখবো, তার প্রয়োগও শিখতে হবে। তাহলেই শিক্ষা পরিপূর্ণ হবে।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮ এবং ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নকে সামনে রেখে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই রূপরেখার আলোকে জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষাক্রমে যেসব পরিবর্তন ও পরিমার্জন আনা হয়েছে সেগুলোর উপযোগিতা যাচাই এবং তা সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য প্রয়োজন একটি পরিকল্পিত ট্রাই-আউট কার্যক্রম। ১০০টি প্রতিষ্ঠানে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তাদের প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে সামগ্রীগুলো পরিমার্জন করা হবে। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে সারা দেশে সব প্রতিষ্ঠানে প্রবর্তন করা হবে।