জাতীয়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়তে পারে

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে আগামি ঈদুল ফিতর পর্যন্ত করার কথা ভাবছে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। রমজানের ছুটির সাথে গ্রীষ্মকালীন ছুটি সমন্বয় করে ছুটি বাড়ানো হবে। একই সাথে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ঈদের পরে নেয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতি এ মুহূর্তে উন্নতি হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না।

তাই শিক্ষা ছুটি ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে কত দিন করা যায় তা নিয়ে ২৪ মার্চ মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয় একটি বৈঠক হবে। সেখানে সিদ্ধান্ত নিবো। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ছে এটা বলা যায়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন,সরকার ইতোমধ্যে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এ ছুটি বাড়তে পারে। এ ছাড়া আগামি ২৩ এপ্রিল থেকে রমজান শুরু হবে।

রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকতে পারে এমন শঙ্কা বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের পদ্ধতি খোঁজা শুরু করেছে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো। বন্ধের এ সময়টুকুতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় একটি বৈঠক হবে। শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় আরো বাড়ানোর বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো.আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘ সরকার ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এ সময় পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ছুটি থাকবে। এর পরে পরিস্থিতি বুঝে নতুন ঘোষণা দেয়া হবে। আজ মঙ্গলবার শিক্ষা সচিবের সাথে বসে আরো সিদ্বান্ত নিবো কত দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হবে ।’

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গতকাল সোমবার এটুআইর কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ডিজির সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করেছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময় বন্ধ রাখা হলে কিভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠের মধ্যে রাখা যায়। টিভি, কমিউনিটি রেডিও, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষা দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।

যাতে করে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা যায়। তবে অনেক অভিভাবক আছে যাদের বাড়িতে টিভি নাই। তাদের ক্ষেত্রে কী করা যায় তা ভাবতে এটুআই কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা কাজ করে আমাদের জানালে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।

এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো.ফসিউল্লাহ বলেন, ‘ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো ছাড়া এ মুহূর্তে আর কোনো বিকল্প দেখছি না। তবে সেটি কত দিন হবে তা আন্তঃমন্ত্রণালয় বসে সিদ্ধান্ত হবে।’

তিনি বলেন,‘ বন্ধের সময়টুকুতে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক টাচে রাখতে এটুআইর প্রযুক্তি সহায়তা এবং সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে বাছাই করা শিক্ষকদের রেকডিং করা ক্লাস প্রচার করা হবে। এ ছাড়াও করোনা নিয়ে সর্তকতামূলক বার্তা ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মায়েদের কাছে এসএমএসের মাধ্যমে পৌঁছানো হবে।

ঢাকা ব্যুরো চীফ ,২৪ মার্চ ২০২০

Share