শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, ‘শিক্ষাক্রমের পরিবর্তনের ফলাফল দেখতে আরও কয়েক বছর সময় লাগবে। ২০০৮ সালে আমাদের নির্বাচনী ইশতিহারে অঙ্গীকার ছিল আমরা শিক্ষার সকল পর্যায়ের মান উন্নয়ন করবো। সে কাজটি আমরা খুব বড় আকারে করেছি। শিক্ষার মান একদিনে উন্নত হয় না, কিন্তু আপনাকে কাজটা করতে হবে।’
শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পূর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে কাজগুলো শিক্ষার মান উন্নয়নে দরকার। আমাদের একটি যোগপযোগী শিক্ষাক্রম দরকার, আমরা সেই নতুন শিক্ষাক্রম, যেটা দিয়ে শিক্ষায় রূপান্তর ঘটে যাচ্ছে, সেটি প্রণয়ন করেছি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। শিক্ষক দরকার হয়। আমরা ব্যাপক হারে শিক্ষক প্রশিক্ষণ শুরু করেছি। একই সাথে অবকাঠামগত উন্নয়ন লাগে, লাকসই প্রযুক্তি লাগে সেগুলো ব্যবহার করছি। এ সব কিছু মিলিয়ে শিক্ষার যে গুনগত মান প্রাক প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত।
দীপু মনি বলেন, আজকে উচ্চ শিক্ষায়ও ব্যাপকভাবে গবেষণা থেকে শুরু করে শিক্ষক প্রশিক্ষণ, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়াল লিংকেজসহ সকল রকম ব্যবস্থা নিয়েছি। এই পরিবর্তনটা যে সূচিত হয়েছে, তার ফলাফল দেখতে আমাদের ৪-৫ বছর সময় নিবে। কিন্তু আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা তারা যে নতুন শিক্ষাক্রমে শিখছে এবং পুরো শিক্ষায় দৃষ্টিভঙ্গিতে, তাদের দক্ষতায় যে বিরাট পরিবর্তন আসছে, এটি এখনই দৃশ্যমান। বিশেষ করে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা যা বলেন, তা তিনি করেন। শিক্ষায় মান উন্নয়ন করবেন বলেছেন, আমরা তার সার্বিক দিক নির্দেশনায় শিক্ষায় মান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সেউ উন্নয়ন আপনারা সবাই ইনশাআল্লাহ দৃশ্যমান দেখতে পাবেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন যে কোন একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে অন্যতম বাহক। প্রত্যেক দেশ তাদের আইন অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠান করে। যারা এখন আমাদের সঙ্গে এসে দেখা করছেন তাদের দেশেও একেইভাবে হয়। আমাদের সংবিধান আছে, নির্বাচন সুষ্ঠু করবার জন্য সকল ব্যবস্থা আছে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন গত অনেকগুলো নির্বাচন মানুষের কাছে এবং সারা বিশে^র কাছে প্রমাণিত সুষ্ঠু, অবাদ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এই দেশে সম্ভব এবং হচ্ছে। কাজেই এখানে ভিন্ন কিছু চিন্তা করবার কোন অবকাশ নেই। যথা সময়ে, যথা নিয়মে, আইন কানুন মেনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। একটি বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা সেখানে সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ, পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যন আইয়ুব আলী বেপারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি,১৪ জুলাই ২০২৩