চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আইসিটি ও শিক্ষা এবং স্থানী সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হাই শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘ ‘আপনারা শিক্ষাকে বাণিজ্য না ভেবে সেবা হিসেবে ভাবুন। তবেই আমরা একটি শিক্ষিত জাতি পাবো।’
চাঁদপুর শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সাথে বুধবার (২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যেই মিশনে নেমেছি তা হলো ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ, জিপিত্র-৫ বেশি সংখ্যক পাক তা চাই না, আমরা চাই কোয়ালিটিপূর্ণ এবং শতভাগ উত্তির্ণ।’
বিদ্যালয় সম্পর্কে বলেন, ‘হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় শহরের একটি নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ বছরও এসএসসিতে বিদ্যালয়টি সাফল্যজনক ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আশা করবো আগামী বছর এ বিদ্যালয় থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করবে। আপনারা যারা শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ান তাদের উদ্দেশ্য বলবো আপনার প্রাইভেট পড়ানো বিষয় যদি ওই শিক্ষার্থী ফেল করে তাহলে তার দায়ভার আপনাকেই নিতে হবে।’
আগামী বছর যাতে কুমিল্লা বোর্ডে চাঁদপুর জেলা ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারে সেই মিশনে কাজ করছি । প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার চেষ্টা করবো । তিনি বলেন,ইংরেজী ও গনিত বিষয়ের উপর জোর দিতে হবে ।এ বিষয়ে শিক্ষকরা পাঠ্যবইয়ের উপর জোর দিবেন । কারণ সৃজনশীল হওয়াতে ছাত্ররা ভিসয়টি কম বুঝে ।তাই তাদেরকে ক্লাসে পাঠদানের ক্ষেত্রে আলো মনোযোগী করে তুলতে হবে ।
তিনি আরো বলেন, আর কোন শিক্ষার্থী যেনো ঝরে না পড়ে সেদিকেও নজর রাখতে হবে। শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে আরো মনোযোগী হতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পাঠ্যবই নিয়ে স্কুলে আসতে হবে। সৃজনশীল হওয়াতে পাঠ্যবইয়ের উপর জোর দিতে হবে বেশি। শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে এমনভাবে পড়াশুনা করাতে হবে যাতে তাদেরকে পাইভেট পড়তে না হয়। বিশেষ করে গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে এ বছর বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী ফেল করেছে। তাই এই দুটি বিষয়ের উপর জোর দিতে হবে। অভিভাবকদের সচেতন করতে হবে। দুর্বল শিক্ষার্থীদের উপর নজর রাখতে হবে বেশি। টার্গেট এসএসসি ২০১৮। সেই লক্ষ্য নিয়ে চাঁদপুর জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে মতবিনিময় করবো। যাতে আগামী বছর অন্ত্যত কুমিল্লা বোর্ডে এসএসসিতে চাঁদপুর ভালো ফলাফল করতে পারে।
ষ তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘শিশুর জন্যে মায়ের দুধের যেমন বিকল্প নেই তেমনি মূল পাঠ্যপুস্তুকেরও কোন বিকল্প নেই। আপনারা বিদ্যালয়ে আসার সময় অবশ্যই মূলপাঠ্য বই সাথে আনবেন। আমি আমার ছাত্র জীবনে কখন প্রাইভেট পড়িনি। ভালো ফলাফল অর্জনে প্রাইভেট পড়তে হয় না। ভালো ফলফল অর্জন করতে চেষ্টার প্রয়োজন।’
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা মায়া মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সোহেল রুশদী, বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনজুরুুল আলম,মানসুর আহমেদ চৌধুরী,মোঃশহীদুল্লাহ,সিরাজুল ইসলাম, মো: শাহাদাত হোসেন, আব্দুল মান্নান, বিল্লাল হোসেন, মাহমুদুল হাসান, জামাল উদ্দিন, নাছিমা খানম, কামরুল নাহার, আয়শা আক্তার, রাশেদুল হক, ওমর শরীফ, ইলিয়াস, আব্দুল লতিফ, জিলানী আলম, কিংকর চন্দ্র।
করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ ১০: ৫০ পিএম, ২ আগস্ট ২০১৭, বুধবার
ডিএইচ