Home / চাঁদপুর / প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির স্মারকলিপি প্রদান
প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির স্মারকলিপি প্রদান

প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির স্মারকলিপি প্রদান

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ঘোষিত ২ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বা ংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল বাশারসহ অন্যান্যরা।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ ছিলো, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এ দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ ঐতিহ্যবাহী পেশাজীবি সংগঠন। ১৯৭৩ সালে এ সংগঠনের অনুরোধে ও দাবির প্রেক্ষিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষকগণকে সরকারি মর্যাদা প্রদান করেন।

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আন্দোলন সংগ্রাম ও দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ৯মাচং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের প্রধান শিক্ষকদের স্কেল দুই ধাপ বৃদ্ধিসহ ২য় শ্রেণির মর্যাদা ও সহাকারী শিক্ষকদের স্কেল এক ধাপ উন্নতি করণ করেন।

এ ঘোষণার ৩ বছর পরেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় প্রধান শিক্ষকগণ উন্নীত স্কেল ও ২য় শ্রেণির পদমর্যাদায় কোন সুবিধা পাচ্ছেন না। বরং শিক্ষকগণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।

অত্যন্ত দুঃখের বিষয় ২০০৯ সাল থেকে ৮ বছর যাবৎ সহকারি শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি বন্ধ। ফলে সারাদেশে প্রায় ২১ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য। এতে করে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাপক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা সত্ত্বেও শিক্ষকগণ পদোন্নতি পাচ্ছেন না। পদোন্নতি বঞ্চিত হয়ে অনেক শিক্ষক অবসর নিয়েছেন এবং অনেকে মৃত্যু বরণও করেছেন।

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ শিক্ষকদের পদোন্নতির কথা বলা হয়েছে। ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি সচিব কমিটির সভাতে প্রধান শিক্ষক থেকে সহকারী শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে পদোন্নতির সুপারিশ করা হলেও অধ্যবধি এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাজার হাজার প্রধান শিক্ষকের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

একজন প্রধান শিক্ষক যে পদে চাকুরীতে যোগদান করবে সারা জীবন সেই একই পদে থেকে চাকুরী শেষ করবে, এটি যেমন অমানবিক তেমনিতার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

১। অবিলম্বে বন্ধ থাকা সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক থেকে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে পদোন্নতিসহ শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি প্রদান করা।

২। সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকের এক ধাপ নিচে ১১ তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ ও প্রধান শিক্ষকরেদ ২য় শ্রেণির পদ মর্যাদায় ১০ম গ্রেডসহ ক্রসপন্ডিং স্কেল দ্রুত বাস্তবায়ন করা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানের লক্ষ্যে এ ২ দপা দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।

করেসপন্ডেন্ট
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০ : ০৭ এএম, ৫ মে ২০১৭, শুক্রবার
এইউ

Leave a Reply