চাঁদপুরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাকালিন সহকারী শিক্ষক ও মোঃ বেলায়েত হোসেন (ফুসফুসজনিত সমস্যা) শ্বাসকষ্টে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে… রাজিউন)।
তিনি ১০ জুন বুধবার ভোর সাড়ে ৫টায় মহাখালী জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী, ৪ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য গুনরাহী রেখে গেছেন। বাদ আসর মিশন রোড শাহী জামে মসজিদে জানাযার নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মরহুমের ছেলে সালাউদ্দিন জানায়, আমার পিতা বেলায়েত হোসেন আল-আমিন একাডেমীর প্রতিষ্ঠাকালিন ১৯৭৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সুনামের সাথে শিক্ষকতা করেছেন। শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহনের পর তিনি হোমেপ্যাথিক চিকিৎসা করতেন। ৩৬ বছর পূর্বে তার একবার টিভি রোগ (ফুসফুস জনিত সমস্যায় শ্বাসকষ্ট) হয়। আবার ৩৬ বছর পর এ রোগেই তিনি মৃত্যু বরণ করেন। শ্বাসকষ্ট হওযায় তার করোনা টেস্ট করা হয় এবং সেখানে রিপোর্ট আসে নেগেটিভ, অথ্যাৎ তিনি করোনায় আক্রান্ত হননি।
এদিকে ১বুধবার বাদ আসর চাঁদপুর মিশন রোডস্থ শাহী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
জানাযার নামাজের পুর্বে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাহবুবুর রহামান , ইসলামপুর গাছতলা দরবার শরীফের পীর সাহেব খাজা মো: অলি উল্যাহ, আল আমিন একাডেমী সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হাবিবুল্ল্যাহ।
নামাজে জানাযায় ইমামতি করেন মাদ্রাসাতু ইশায়াতিল উলুম (গাছতলা মাদ্রাসার) অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহিম পাটওয়ারী।
মরহুম বেলায়েত হোসেন মুক্তিযোদ্ধা নৌ কমান্ডার আব্দুল আজিজ খানের ছোট ভাই। এছাড়া তিনি দৈনিক চাঁদপুর দিগন্ত পত্রিকার বার্তা সম্পাদক, চাঁদপুর প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সদস্য কে এম সালাউদ্দিনের পিতা। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি এ কে আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক তালহা যোবায়ের সংগঠনের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া শোক সন্তোপ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
এদিকে বুধবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা শোকাহত হন। এদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ শিক্ষকের সাথে তাদেরে বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া স্মৃতিচারণ করেন। এরমধ্যে পিছিয়ে ছিলো না প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দও। তাদের অধিকাংশদের বক্তব্যে থেকে জানা যায়, শিক্ষকতা ছাড়াও এককজন উঁচু মনের মানুষ ছিলেন বেলায়েত হোসেন। তাই অন্যান্য শিক্ষকদের পাশাপাশি তিনি অনেক জনপ্রিয় ছিলেন। এজন্যই অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়ে তাদের অনুভূতি সামাজিক যোগাযেগের মাধ্যমে প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
প্রতিবেদক : মাজহারুল ইসলাম অনিক, ১০ জুন ২০২০