জাতীয়

শিক্ষকরাও নকল করতে সহযোগিতা করছে: রাষ্ট্রপতি

বর্তমানে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন পরীক্ষাগুলোতে নকলের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু তাই নয় এ ব্যপারে শিক্ষকরাও নকল করতে সহযোগিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

১১ জানুয়ারি শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম সমাবর্তনে এসব কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জীবনে অনেক পরীক্ষায় ফেল করেছি, তবে কখনো পাস করার জন্য নকলের মতো অনৈতিক পথ অবলম্বন করিনি। এমনকি পাশের কাউকে জিজ্ঞেসও করিনি।’

তিনি বলেন, ‘উপাচার্যগণ হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আপনাদের সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। আপনারা নিজেরাই যদি অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন বা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা কী হবে, তা ভেবে দেখবেন।’ এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচন করি। সে নির্বাচনে আমি ছিলাম গোটা পাকিস্তানে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী। সত্তরের ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলাম। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানের পার্লামেন্টে যেতে পারিনি।’

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্সের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এক শ্রেণির শিক্ষক রয়েছেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। অনেক সময় সান্ধ্যকালীন কোর্স ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিয়ে সপ্তাহব্যাপী অতি ব্যস্ত সময় কাটান। এ সমস্ত কাজ কর্মে তারা খুবই আন্তরিক।’

এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রায় সাত বছর ধরে জেলখানারই মতোই বঙ্গভবনে আছি। রাস্তায় স্বাধীনভাবে হেঁটে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে টেলিভিশনে দেখি, ওভারপাস আছে অথচ রিস্ক নিয়ে সমানে নিচ দিয়ে মানুষ পারাপার করছে।’

রাষ্ট্রপতি আরও যোগ করে বলেন, ‘ডিসিপ্লিন না মানলে কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। তোমাদের অনুরোধ, মানুষকে এ ব্যাপারে বোঝাও। এভাবে যত্রতত্র রাস্তা ক্রস করা ঠিক না। যেখানে ব্যবস্থা নেই সেখানে অন্য কথা। সবাইকে নিজে সচেতন হতে হবে এবং অন্যদেরও সচেতন করতে হবে।’

ঢাকা ব্যুরো চীফ

Share