Home / সারাদেশ / ইলিশ শিকারে ব্যস্ত দেশের ৫১ হাজার জেলে : টার্গেট পৌনে ৬ লাখ মে.টন
ELISH-
ফাইল ছবি

ইলিশ শিকারে ব্যস্ত দেশের ৫১ হাজার জেলে : টার্গেট পৌনে ৬ লাখ মে.টন

ইলিশ শিকারের ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওযায় ফের ইলিশ শিকারে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে জেলেরা। ইলিশ শিকারে এখন ৫১ হাজার জেলে ব্যস্ত। ফলে জেলে পরিবারে বইছে খুশির বন্যা। এ বছর নির্বিঘ্ন্নে মা ইলিশ তাদের ডিম ছাড়তে পেরেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।

দেশের ৬টি অভয়াশ্রমে এখন জেলেদের অভিরাম মৎস্য শিকারের ব্যস্ততা। সরকারের মৎস্য বিভাগ চলতি বছর পৌনে ৬ লাখ মে.টন ইলিশ আহরণের টার্গেট নির্ধারণ করেছে। গত বছর সারাদেশে ৫ লাখ ৬৫ হাজার মে.টন ইলিশ আহরিত হয়েছে। সরকারিভাবে এক তথ্যে জানা গেছে-২০২০-২১ অর্থবছরে ১৪১ কোটি টাকা ইলিশ খাতে রফতানি হয়েছে

সরকারের ব্যাপক প্রচার প্রচারণা ও কঠোর অভিযানের ফলে ৯৫ % জেলেই এ সময় ইলিশ শিকার থেকে বিরত ছিল। তারপরেও যেসব অসাধু জেলে আইন ভঙ্গ করেছে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অবৈধ জাল উদ্ধার করা হয়েছে।

এবছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে নদী ছিলো জেলেশূন্য। অভিযানে জেলেরাও সহায়তা করায় ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে ।

জেলে পরিবারে চলছে আনন্দের বন্যা। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে পুনরায় ইলিশ শিকার শুরু হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার মেয়াদকালে জেলেরা জাল বুনন, ট্রলার মেরামত ও পুরাতন জাল রিপুসহ পুনরায় ইলিশ মাছ ধরার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। ইলিশের মৌসুম শেষের দিকে হলেও গত কয়েক বছর শীতের সময় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেদের আগ্রহ বেড়েছে।

জেলে পরিবারগুলো স্বপ্ন দেখছে ইলিশের প্রাচুর্যতায় তাদের অভাব দূর হবে। ফিরে আসবে স্বচ্ছলতা।
মা ইলিশ শিকার নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনের জন্য জেলে পরিবারের মধ্যে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ করে সরকার। ফলে অধিকাংশ জেলেই আইন মান্য করে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকে।

মৎস্যজীবী সমিতির নেতারা বলছেন, সরকারের মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমের ফলে নদীতে ইলিশের উৎপাদন প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এবছর অধিকাংশ জেলেই আইন মান্য করেছেন। বর্তমানে জেলেরাও বুঝতে পেরেছে এ অভিযান তাদের জন্য মঙ্গলজনক। সামনের দিনগুলোতে ব্যাপক ইলিশ পাবে বলে জেলেরা আশা করছে। তারা বলছে, নিষেধাজ্ঞার পর ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে।

এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চালু হচ্ছে ইলিশের ঘাট ও আড়তগুলো। ছুটিতে থাকা শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়ে সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। আড়তে সর্বত্রই ব্যবস্ততা। ক্রেতাণ্ডবিক্রেতা ও আড়তদারদের হাঁকডাকে সরগরম হয়ে উঠছে ঘাটগুলো। একইসঙ্গে চালু হয়েছে বন্ধ থাকা বরফল।

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৯ অক্টোবর ২০২২
এজি