একসময় রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন শুক্কুর আলী। এখন তাঁর দিন কাটে পথে পথে ভ্যানে করে শাহি নাশতা বিক্রি করে। কাজ করার একপর্যায়ে দুই বছর আগে খিঁচুনি উঠে অজ্ঞান হয়ে গরম কড়াইয়ের ওপর পড়ে যান তিনি। তখন গলা, ঘাড়, চোখ এবং কানের অনেকখানি পুড়ে যায়। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরেন শুক্কুর আলী।
শুক্কুর আলী চাঁদপুরের মতলব উপজেলার ফরাজীকান্দি গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমানে কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর বাজারের পাশে বাসা ভাড়া করে বসবাস করছেন। গ্রামের বাড়িতে ঘরবাড়ি জমি-জমা নেই বলে জানান শুক্কুর আলী। মা এবং পাঁচ ভাই-বোন নিয়ে যখন দিশেহারা তখন একটি ভ্যানে করে সকালের নাশতা (তাঁর ভাষায় শাহি নাশতা) বিক্রির কাজ শুরু করেন। গৌরীপুর বাজারের আশপাশের এলাকায় ভ্যানে করে ঘুরে ঘুরে সকালের নাশতা বিক্রি করেন তিনি।
শুক্কুর আলী জানান, প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা বিক্রি হয় তাঁর। এতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা লাভ থাকে। এ দিয়ে চলে তার সংসারের যাবতীয় খরচ।
তবে আর বেশি দিন এই কাজ করতে চান না শুক্কুর আলী। তিনি জানান, টাকা সঞ্চয় করে একটি দোকান দিয়ে বসবেন। পরে বিয়ে করে সংসার পাতবেন।
এ প্রসঙ্গে শুক্কুর আলী বলেন, `গরিবের ঘরে জন্ম হয়েছে কষ্ট তো আমাকে করতেই হবে। ভিক্ষা করা আমার পছন্দ নয়। আমি কাজ করেই খেতে চাই।’
স্টাফ করেসপন্ডেট