Home / উপজেলা সংবাদ / শাহরাস্তি / শাহরাস্তি ভাইস চেয়ারম্যানকে অপসারণ করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া
শাহরাস্তি ভাইস চেয়ারম্যানকে অপসারণ করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া

শাহরাস্তি ভাইস চেয়ারম্যানকে অপসারণ করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া

নির্বাচিত হবার পর একটিমাত্র পদ হতে বেতন ভাতা গ্রহণ করলেও দ্বৈত পদে কর্মরত থাকার অভিযোগে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান পদ থেকে জামায়াত আমীর মাও. আবুল হোসাইনকে অপসারণ করা হয়েছে।

এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছেন। অনেকেই বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে নিয়েছেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে এক পরিপত্রে ১৬ জুলাই তাকে অপসারণ করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান মিন্টুর অভিযোগে মন্ত্রণালয় তাকে অপসারণ করে।

অভিযোগে কামরুজ্জামান মিন্টু দাবি করেন, ‘মো. আবুল হোসাইন উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক হিসেবে দ্বৈত পদে কর্মরত। ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসাইনকে ২০১৫ সালের ৪ নভেম্বর ও ২৯ ডিসেম্বর জারিকৃত কারণ দর্শানোর নোটিশের প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর ও ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি তারিখের দুটি জবাব সন্তোষজনক নয় মর্মে এ অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে ১৯৯৮ সংশোধন আইন ২০১১ ধারা এর ৮ (২) (ঙ) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান মিন্টু জানান, নির্বাচনী হলফনামায় মাও. আবুল হোসাইন ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক হিসেবে কর্মরত থাকার বিষয়টি উল্লেখ না করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ ও ২১ ফেব্রুয়ারিসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেন না।

অপসারণের চিঠি শাহরাস্তি উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে এলে বিষয়টি নিয়ে ভাইস-চেয়ারম্যান আবুল হোসাইনের সাথে কথা বললে তিনি চিঠি পাওয়ার সত্যতা স্বীকার জানান, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর বিধি অনুযায়ী তিনি ভাইস চেয়ারম্যানের সন্মানী ভাতা গ্রহন করেবেন না বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়কে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সরকারের বিধি অনুযায়ী নির্বাচিত হওয়ার পর জনপ্রতিনিধি দুই পদে থেকে সরকারি সুবিধা গ্রহন করতে প রে না। এ হিসেবে মাওলানা তিনি আরবি প্রভাষক হিসেবে চাকরীর বেতন ভাতা গ্রহন করেছেন। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কখনো কোনো আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেন নাই। এ শর্তেও তাকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতি হিংসার কারনে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেন আবুল হোসাইন।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এখনো স্বপদে বহাল আছেন যারা শিক্ষক হিসেবেও সরকারি বেতন ভাতা গ্রহন করেছেন। সাথে সাথে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির সন্মানী ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা গ্রহন করেছেন।

এদিকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে তার পদ হতে অপসারণ করায় স্থানীয় জনসাধারণ মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তারা এটিকে ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে মনে করছেন।

প্রসঙ্গত, উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. আবুল হোসাইন ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর মধ্যে তিনি বিভিন্ন মামলায় একাধিকবার গ্রেফতার হন।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:০০ পিএম, ৩০ জুলাই ২০১৬, শনিবার

ডিএইচ