চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ২০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়। শনিবার (১৬ জুলাই) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল ।
অনুষ্ঠানে প্রথম প্রর্যায় হিসেবে উপজেলার ২০ টি বিদ্যালয়ে ১৬ টি করে খেলার সামগ্রী দেয়া হয়। যার মূল্য ৫০ হাজার টাকা। পর্যায়ক্রমে উপজেলার বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণের আশ্বাস দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল বলেন, লেখা পড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা শিশুদের অপরিহার্য অংশ। আপনারা এমন কর্মকর্তা পেয়েছেন যিনি সত্যিই ভালো। আমি তার সাফল্য কামনা করি। প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়ে কাজ করলে অনেক উন্নতি করা সম্ভব । শুধু পড়ালেখা করলে মানুষ হওয়া যায় না। আপনাদের শরীর মন দু’টোই ভালো রাখতে হবে।
ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, এ পদক্ষেপ সময় উপযুগী। এ পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিতে হবে।
শিক্ষকদের উদেশ্যে বলেন, সমাপনী পরীক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম হতে হবে। সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে। কল সেন্টারের মাধ্যমে বিদ্যালয় গুলোকে তদারকি করা হবে। আমি এ সকল কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। এ সময় জেলা প্রশাসক মিড ডে মিল কর্মসূচি বাস্তবায়নের নিদের্শ প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামিউল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন , চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা উপ-পরিচালক মাহবুবুর রহমান বিল্লাল , উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী , সহকারি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কবির উদ্দিন , শাহরাস্তি পৌর মেয়র হাজি আব্দুল লতিফ , সূচিপাড়া উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান পাটওয়ারী , উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা খাজা মাঈনুদ্দিন , অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলাম ।
২০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ১৬ টি ভিন্ন ভিন্ন ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয় সে গুলো হল মিনি হার্ডলস, কোণ, মার্কার, স্কিপিং রোপ, হ্যান্ডবল, ফুটবল, টেনিস বল (ডজন), ক্রিকেট সেট, ট্রামপোলাইন, ডার্টবোর্ড, টয়/ডোলনা, বাস্কেটবল, জাম্পিং রোপ , বাঁশি , ঘড়ি ও জার্সি।
এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামিউল মাসুদ কিছু দিন ধরে কাজ করে আসছেন।