চাঁদপুর শাহরাস্তিতে হোটেল শ্রমিকের গলায় ফাঁস দিয়ে এমরান হোসেন (৩৫) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে৷
মঙ্গলবার ৮ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের টামটা গ্রামের পাটোয়ারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে৷
পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার সূত্র জানায়, ওই বাড়ির আঃ ছমেদ পাটোয়ারীর বড় ছেলে এমরান একজন সহজ সরল ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী প্রকৃতির লোক ছিল৷ সে উপজেলার ঠাকুর বাজারে একটি রেস্তোরাঁয় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো৷ ২ বছর আগে একই উপজেলার নিজমেহার রাঢ়ী বাড়ির বিল্লাল হোসেনের কন্যা শান্তা আক্তারের সাথে তার বিবাহ হয়৷
সাংসারিক জীবনে তাদের বনিবনা না হওয়ায় ১বছর পূর্বে শান্তা পিত্রালয়ে চলে যায়৷ ঘটনার আগে ৩ দিন ভিকটিম বাড়ি ফেরেনি৷ ওইদিন রাত সাড়ে ৯ টার সময় বাড়ি এসে ১০ টার দিকে নিজ কক্ষে প্রবেশ করে৷ রাত ১২ টার সময় তার মা নূরজাহান বেগম প্রকৃতির ডাকে ঘুম থেকে উঠে ভিকটিমকে নিজ ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পায়৷ খবর পেয়ে রাতেই শাহরাস্তি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আবদুল মান্নান ও উপ-পরিদর্শক মোঃ ইদ্রিস মিয়া লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে৷
ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোঃ আঃ রহিম জানান, ভিকটিমের স্ত্রী পিত্রালয়ে চলে যাওয়ার পর হতে সে তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে এনে দিতে বিভিন্ন লোকজনকে জ্বালাতন করতো৷ কিছুটা প্রতিবন্ধী প্রকৃতির হওয়ায় তার মেজাজ অনেক চড়া থাকতো৷
ভিকটিমের শ্বশুর মোঃ বিল্লাল হোসেন জানান,বনিবনা না হওয়ায় ১ বছর আগেই মেয়েকে ওই বাড়ি হতে নিয়ে আসি৷ সে সময়ে সামাজিক ভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হলেও ছেলের পরিবারের লোকজন এগিয়ে না আসায় বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ভাবে সমাধান হয় নি৷
শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে৷ এ ব্যপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে৷
প্রতিবেদক:জামাল হোসেন,৯ সেপেটম্বর ২০২০