চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে হত্যার হুমকী দেওয়ায় এক ফল বিক্রেতা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার (৭ জুন) রাত ৮ টায় শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী বেরকী গ্রামের মজুমদার বাড়ীর হেদায়েত উল্লাহ’র ছেলে মোঃ লিটন হোসেন (৩৫) সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন আমি স্থানীয় খিলা বাজার ফল দোকান দিয়া ব্যবসা করিয়া আসিতেছি। দোয়াভাঙ্গা রেল গেইট এর উত্তর পাশে হাফসা ফল ভান্ডারের মালিক শাহজাহান হোসেন প্রকাশ সাজুর দোকান হইতে বাকী ও নগদে মালামাল ক্রয় করি। সেই হিসাবে সাজু আমার নিকট হইতে ১,৩০,০০০/-টাকা পায়। উক্ত বিষয় নিয়া স্থানীয়ভাবে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে বিবাদীকে ৬ মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত হয়।
স্থানীয় বৈঠকে রায় কার্যকর করতে আমি নগদ ৫ হাজার টাকাও প্রদান করি। বৈঠকের কয়েক দিন যাওর পর হতে পাওনাদার সাজু আমার নিকট টাকা পয়সা চাহিয়া আমাকে গালমন্দসহ হুমকি ধমকি প্রদান করে আসে।
গত ৫ জুন দিবাগত রাত অনুমান ১০ টায় সাজু সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন লোক আমাকে গাবতলী বাজারের পাশ্ববর্তী সেলিম মিয়ার বাড়ির সংলগ্ন রাস্তায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে মোটর সাইকেল হইতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে আমার ডান পায়ের হাঁটু সহ পায়ের পাতায় মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হই। আমি আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মাটিতে পড়লে শাহজাহান হোসেন প্রকাশ সাজু (৪০) ও তার সঙ্গী দিদার হোসেন (৩৯), তারেক সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা ও লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য আমাকে বেদম মারধর করে। আমার ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসার পূর্বেই তারা আমাকে প্রাণে হত্যার হুমকী দিয়ে আমার ব্যাবহারিত মোটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আমাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
এই ব্যাপারে আমি বাদি হয়ে শাহরাস্তি মডেল থানায় তিন জনকে বিবাদি করে গত বুধবার ৭ জুন একটি অভিযোগ দায়ের করি। থানায় অভিযোগ করায় বিবাদিগংরা আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকী ধামকী দিয়ে আসছে। তাদের হুমকীর ভয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি বিবাদিগংদের দৃষ্টান্ত বিচার দাবি করছি।
শাহরাস্তি প্রতিনিধি, ৮ জুন ২০২৩