শাহরাস্তিতে স্ত্রী নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে প্রবাসীর সাংবাদিক সম্মেলন

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের পাথৈর গ্রামের মৃত ফজলুল হকের প্রবাসী ছেলে মোঃ খোরশেদ আলম স্ত্রীর নির্যাতন রেহাই পেতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। ৩০ মে বিকেলে

প্রেসক্লাবে তিনি বলেন, আমি একজন প্রবাসী প্রায় ২৯ বছর ধরে প্রবাসে অবস্থান করছি। আমি ২০০২ সালে চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের নরহ গ্রামের বদিউল আলমের কন্যা নারগিস আক্তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। আমার সংসারে বর্তমানে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আমি প্রবাসে থাকা অবস্থায় জানতে পারি আমার স্ত্রী পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। তখন আমি আমার শ্বশুর-শাশুড়িকে বিষয়টি অবহিত করি। কিন্তু উনারা এই বিষয়টি সঠিক কোন সমাধান দিতে পারেন নাই। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে আমি বাড়িতে আসি। এরপর আমার স্ত্রী আমার প্রতি মানসিক অত্যাচার শুরু করে। আমি আমার স্ত্রীর কাছে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার হিসাব চাইতে গেলে সে উক্ত টাকার হিসেব না দিয়ে ভাড়াটিয়া লোকজন ঠিক করে আমার প্রতি অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তখন আমি আমার স্ত্রীর অত্যাচারের কারণে বিদেশে চলে যেতে বাধ্য হই।

২০২০ সালে আমার স্ত্রী আমাকে অবহিত না করে আমার বড় মেয়ে নুসরাত জাহান সুইটিকে বিবাহ দিয়ে দেয়। ২০২১ সালে আমি আবার দেশে ফিরে আসলে আমার মেয়ের বিয়ের বিষয়টি জানতে চাইলে আমার উপর অত্যাচারের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। এরপর আমার স্ত্রী আমার নামে শাহারাস্তি থানায় একটি নারী নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগ দায়ের করে।

উভয় পক্ষকে নিয়ে শাহারাস্তি থানায় সালিশি বৈঠক বসলে উক্ত বৈঠকে তাদের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এরপর আমরা উভয়ই আবার সংসার জীবন শুরু করি। দুই মাস দেশে থাকার পর আমি আবার প্রবাসে চলে যাই। শুধুমাত্র আমার দুই সন্তানের কারণেই আমি এ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখি। মানসিক চাপ থাকায় আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।২০২৩ সালে আমি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে আবার দেশে আসলে আমি আমার স্ত্রী নিকট টাকার হিসেব চাইলে সে হিসেব না দিয়ে আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ দিতে থাকে এবং তার পিতা ও ভগ্নিপতিসহ বহিরাগত সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমাকে হুমকি ধামকি দিতে থাকে।

এমন অবস্থা সামাল দিতে না পেরে আমি জীবন বাঁচানোর তাগিদে আবারও বিদেশে ফিরে যাই। আমি বিদেশে চলে যাওয়ার পরপরই আমার স্ত্রী আমার দুই সন্তানকে নিয়ে আমার ঘরের আসবাবপত্র স্বর্ণ অলংকার ও নগদ অর্থ সহ তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। আমি এই বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে বলে জানায়। কিন্তু আমি এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী কোন সত্যতা পাইনি। আমার প্রবাস জীবনের সমস্ত আয় আমার স্ত্রীর কাছে রক্ষিত ছিল। আমার হিসাব মতে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা আমার স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজন আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে আমার বাড়ি থেকে চলে যায়।

গত ৯ মে আমি দেশে আসার সংবাদ জানতে পেরে আমার স্ত্রী আমার বাড়িতে চলে আসে তখন আমি বাড়ির বাহিরে থাকায় তারা আমার ঘরের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে।তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আমি জীবন বাঁচানোর তাগিদে অন্যত্র চলে যাই। আমি জানতে পারি আমার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে শাহরাস্তি থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। মামলা ও হামলার ভয়ে আমি ঘর ছেড়ে জীবন বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় দিনযাপন করছি। আমি একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

প্রতিবেদক: মো: জামাল হোসেন, ৩০ মে ২০২৪

Share