চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মরদেহের ময়নাতদন্ত নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উঘারিয়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্র থেকে নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ শাহরাস্তি থানায় নেওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতদের প্রাইভেটকার থেকে মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ না দেওয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে এবং দুই জেলার স্থাপনকারী ব্রিজের পাটাতন খুলে ফেলেছে স্বজন শুভাকাঙ্খীরা। এ সংঘর্ষে ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন… প্রাইভেটকারে মদের বোতল, লাশ ছিনিয়ে নিতে হামলায় পুলিশসহ আহত ২০
এদিকে মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টায় শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের পূর্ব নরহ গ্রামের মোল্লারটেক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ওই তিনজনের মরদেহ নিতে এসেছিলেন স্বজনরা।
স্থানীয়রা জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় আত্মীয়-স্বজনরা বাধা দেন। তারা ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ নিয়ে যাওয়ার দাবি জানান। তারপরও পুলিশ মরদেহ থানায় নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্বজনরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করেন। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ।
প্রায় আধাঘণ্টা সংঘর্ষের পর পুলিশ তিনজনের মরদেহ নিয়ে থানায় চলে আসে। ময়নাতদন্ত শেষেই মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখন ঘটনাস্থলে রয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।’
আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শাহরাস্তি প্রতিনিধি
