চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় এ বছর ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। পুরো উপজেলায় জিপিএ ৫ পেয়েছে মাত্র ৩ জন, গত বছর ছিলো ২৭ পাসের হার ৪৪.৯৬, যা গত বছরের তুলনায় ১৮.১৮ ভাগ কম।
এ বছর উপজেলার ৫ কলেজ হতে ১ হাজার ৩ শত ৩০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৫ শত ৯৮ জন পাস করে।
এর জানা যায় উপজেলা করফুলেন্নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজ হতে ১ শত ৮৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ১ শত ৫০ জন উত্তীর্ণ হয়। গড় পাসের হার ৮০.৬৫ ভাগ। এ কলেজ হতে ব্যবসা শিক্ষা শাখায় একজন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
সূচীপাড়া ডিগ্রি কলেজ হতে ৪ শত ১৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ২শত ১ জন পাশ করে। পাসের হার ৪৮.৫৫ ভাগ। এ কলেজ হতে মানবিক শাখায় জিপিএ-৫ পেয়েছে এক জন ।
মেহের ডিগ্রি কলেজ হতে ৩শত ৪৯ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে ১ শত ৫৫ জন শিক্ষার্থী পাশ করে। জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন। পাসের হার ৪৪.৪১ ভাগ।চিতোষী ডিগ্রি কলেজ হতে ৩ শ’ ৩৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৬৫ জন উত্তীর্ণ হয়।
পাশের হার ১৯.৪০ ভাগ। এ কলেজ হতে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। খিলাবাজার স্কুল এন্ড কলেজ হতে ৪৬ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে ২৭ জন উত্তীর্ণ হয়।
এবছর ৫ টি কলেজের প্রকাশিত এ ফলাফলে অভিভাবকদের মাঝে বেশ হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত বছরের ফলাফল পরিসংখ্যানে করফুলেন্নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজ পূর্বের বিপর্যয় কাটিয়ে সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করতে পেরেছে।
সে সময় এ কলেজের পাসের হার ছিলো ৪৯.৫৪ ভাগ । বর্তমান ফলাফলে ৩১ .১১ ভাগ ঊর্ধ্বমুখী।
সূচিপাড়া ডিগ্রি কলেজের ফলাফল পরিসংখ্যানে গত বছর পাশের হার ছিলো ৭৮.৫২ ভাগ। এবছর ২৯.৯৭ ভাগ নিন্মমুখী । গত বছর ২০ জন জিপিএ-৫ পেলেও এবার পেয়েছে মাত্র এক জন ।
মেহের ডিগ্রি কলেজের ফলাফল পরিসংখ্যানে গত বছরের বিপর্যয় কাটিয়ে খানিকটা ঊর্ধ্বমুখী হলেও আশানুরুপ ফলাফল হয়নি। গত বছর এ কলেজের পাসের হার ২২.২৯ ভাগ হতে এ বছর ৪৪ .৪১ ভাগে উন্নীত হয়েছে।
চিতোষী ডিগ্রি কলেজে গত বছর ৭ জন জিপিএ-৫ সহ ৮৫.৯৬ ভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হলেও এবার কলেজের ফলাফল হতাশাজনক। ফলাফল পরিসংখ্যানে গত বছরের তুলনায় ৬৬.৫৬ ভাগ নিন্মমুখী ।
ফলাফল প্রসঙ্গে মেহের ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘গত বারের বিপর্যয় কাটিয়ে এবার কিছুটা ভালো হয়েছে। আগামিতে আরো ভালো ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টা চলছে।’
ফলাফল বিপর্যয় প্রসঙ্গে চিতোষী ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামিউল মাসুদ জানান, ‘এ কলেজের ফলাফল নিন্মমুখী ও হতাশাজনক। ফলাফল বিপর্যয়ের কারণগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থায় নেয়া হবে।’
এদিকে উপজেলার ১০ টি মাদ্রাসা হতে চলতি বছরের আলিম পরীক্ষায় ২ শত ৩১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ২ শত ৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার ৮৯.১৮ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। এছাড়া দু’টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাস করেছে।
জানা যায়, ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসা হতে ২৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়।
নুনিয়া ফাযিল মাদ্রাসা হতে ২৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ২৬ জন উত্তীর্ণ হয়। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। চিতোষী সুলতানিয়া ফাযিল মাদ্রাসা হতে ৩১ অংশগ্রহণ করে ২৩ জন পাশ করে। পরাণপুর ফাযিল মাদ্রাসা হতে ২১ জন অংশগ্রহণ করে ১৭ জন পাস করে।
রাগৈ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা হতে ২৭ জন অংশ গ্রহণ করে ২৬ জন পাশ করে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। রাজাপুরা আলআমিন ফাযিল মাদ্রাসা হতে ১৮ জন অংশগ্রহণ করে ১৫ জন পাস করে।
শাহরাস্তি চিশতীয়া আলিম মাদ্রাসা হতে ১৬ জন অংশগ্রহণ করে ১৩ জন উত্তীর্ণ হয়। হোসেন গাউছিয়া মাদ্রাসা হতে ২৪ জন অংশ গ্রহণ করে শতভাগ পাস করে।
আহমদ নগর আব্দুল আজিজ মাদ্রাসা হতে ৩১ জন অংশগ্রহণ করে ২৯ জন উত্তীর্ণ হয়। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। শেখ ফজিলতেন্নেছা মহিলা মাদ্রাসা হতে ১০ জন অংশগ্রহণ করে ৯ জন পাস করে।
শাহরাস্তি করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:৩০ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur