চাঁদপুরে অপহরণ হওয়া কিশোরীকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে হস্তান্তর করেছে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইবরাহিম খলিল।
কিশোরী উদ্ধার হওয়ার পর অভিভাবক গরীব হওয়ায় তাকে নিতে আসা গাড়ি ভাড়া তাদের কাছে ছিলো না। এ খবর শুনে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইব্রাহিম খলিলের নিদ্দের্শে থানার উপ-পরিদর্শক আওলাদ নিজের ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে কিশোরীর মায়ের কাছে বিকাশে টাকা পাঠান।
সে টাকা পেয়ে সোমবার(০৬ অক্টোবর) বিকেলে অপহরণ হওয়া কিশোরীকে অবশেষে তার মা হালিমা বেগমের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কিশোরীকে গত বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের মহামায়া বাজার এলাকায় থেকে চাঁদপুর সদর মডেল থানার পুলিশি উদ্বার করে। সে গত ১৫ দিন পূর্বে লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ এলাকা থেকে অপহরন হয় বলে পুলিশ জানান।
অপহৃতা কিশোরী বলেন,‘তাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার পশ্চিম বিঘা গ্রামে। তার বাবা মারা যাবার পর মায়ের বিয়ে হয় একই গ্রামের দিন মজুরের সাথে। কিশোরী মায়ের কাছেই থাকতো। ঘটনার দিন তার মা তাকে বাড়িতে একা রেখে নানার বাড়িতে বেড়াতে যায়। এরই ফাকেঁ কিশোরী বাড়ি থেকে একা বেড় হয়ে বাড়ির পাশের রাস্তায় যায়। সেখান থেকে এক দল যুবক তাকে গাড়িতে উঠিয়ে অপহরন করে চাঁদপুর নিয়ে আসে।’
পুলিশ ধারণা করছে দীর্ঘ দিন অপহরণকারীরা কিশোরীকে আটকিয়ে রাখে। পরে এক পর্যায়ে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের মহামায়া বাজার এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) রাতে মডেল থানা পুলিশ ডিউটিতে গেলে মহামায়া বাজার এলাকায় কিশোরিকে কাঁদতে দেখে সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তার পরিবারের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে চাঁদপুর মডেল থানায় এসে তাদের মেয়েকে নেওয়ার জন্য বলে।
এ দিকে কিশোরীর পরিবার হতদরিদ্র হওয়ায় টাকার অভাবে গাড়ি ভাড়া জোগাড় করতে না পারায় চাঁদপুরে আসতে কাল ক্ষেপণ হয়। মায়ের কাছে যেতে না পেরে কিশোরী থানায় অজোর ধারায় কাঁদতে-কাঁদতে কিশোরী তার মাথা নিজেই দেয়ালের সাথে আঘাত করে ফাটিয়ে ফেলে।
পরে পুলিশ তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
প্রতিবেদক: শরীফুল ইসলাম
৬ নভেম্বর, ২০১৮