শাহরাস্তিতে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে গাছ কাটার অভিযোগ

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে জোরপূর্বক গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানায় ২৮ মার্চ সোমবার টামটা উত্তর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বলশিদ দিঘীরপাড় বাড়ীতে এ গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বলশিদ গ্রামের দিঘিরপাড় বাড়ির মোঃ আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগমের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে ওই এলাকার মৃত জলিল খলিফার ছেলে ভূমিদস্যু মোঃ শফিকুল ইসলাম তার সন্ত্রাসী দল নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ৭টি গাছ কেটে নিয়ে যায়। এতে মমতাজ বেগম বাধা দিলে তাকে শারীরিক নির্যাতন ও গোটা পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে থাকে। উক্ত সম্পত্তি থেকে মমতাজ বেগম কে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন, মমতাজ বেগম দাবি করে বলেন এর পূর্বেও গাছ কাটতে আসলে ৯৯৯ এ ফোন দিলে শাহরাস্তি থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে এবং বিবাদীকে গাছ না কাটার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু কয়েকদিন বিবাদী পুলিশের সকল বাধা অমান্য করে ভূমিদস্যু শফিকুর রহমান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উক্ত স্থান থেকে একাধিকবার গাছ কেটে বিক্রি করে দেন।

মমতাজ বেগম জানান আমি পত্রিক সূত্রে আমার ১১২ শতক জমি রয়েছে। যাহা আমি দীর্ঘদিন ধরে স্বামী সংসার ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসিতেছি। কিন্তু ভূমিদস্যু শফিকুল ইসলাম একের পর এক আমার পুকুরে ও বিভিন্ন মাছের ঘেরে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জোরপূর্বক মাছ ধরে নেয় এবং গাছ কেটে নিয়ে যায়। সকল অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে বারবার প্রশাসনের নিকট দ্বারস্থ হলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশ দরবার হলেও কোনো সুরাহ হয় নাই। বরং উল্টো আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। এর পূর্বে বিবাদীগন আমার বিরুদ্ধে ৪টি মামলা করেছে, যার একটি মামলাও তারা সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি। এছাড়াও আমার স্বামী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে নাবালক মেয়েকে কিডনাপ করেছে বলে একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তী কিডনাফ মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। বর্তমানে ৩টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে চলমান। ঢাকার ১টি মামলা নং ০৪/১১/২০১২ইং বিজ্ঞ আদালত মমতাজ বেগমের পক্ষে খারিজ করে দেন।

বিবাদীগন আমার পরিবারকে নিঃস্ব করে দেওয়া ও উক্ত সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে অদ্য পর্যন্ত থানা ও বিজ্ঞ আদালতসহ ১৮ টি মামলা করেন, যাহা আমার স্বামী মোঃ আনোয়ার হোসেন একজন রাজমিস্ত্রি শ্রমিক, এ মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে আমার পরিবারের সদস্য বর্তমানে না খেয়ে, না পড়ে মানবতা জীবন যাপন করে আসিতেছি। অন্যদিকে বিবাদী শফিকুল রহমান গং একের পর এক আমার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। আমি বর্তমানে নিরুপায় হইয়া স্থানীয় সংসদ সদস্য আমাদের প্রিয় অভিভাবক মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি মহোদয়ের নিকট তাদের থেকে রেহাই পেতে একটি আবেদন করি। এই বিষয়ে এমপি মহোদয়, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও স্থানীয় প্রশাসনের নিকট সু-বিচার প্রার্থনা করছি।

উক্ত বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি শফিকল ইসলাম জানান আমার পিতা মৃত জলিল খলিফা ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ সালে, যার দলিল নং ৭৭৪৭ মূলে আব্দুল হান্নান থেকে ৮৪ এর অন্দরে ২৮ শতক জমি সাফ কবলা মূলে খরিদ করি। মমতাজ বেগমের কোন সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করি নাই। আমার সম্পত্তির উপরের গাছ আমি কেটে নিয়েছি এবং আমার বিরুদ্ধে মমতাজ বেগমের যে সকল অভিযোগ তা সম্পূর্ণ অসত্য।

শাহরাস্তি প্রতিনিধি, ৩০ মার্চ ২০২২

Share