শাহরাস্তিতে পল্লী চিকিৎসকের দোকান পুড়ে ছাই

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের নির্বাচন করায় এক পল্লীচিকিৎসকের দোকান পুড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

গত ৩০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে দোকানে আগুন লেগে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়, উপজেলার ১০ নম্বর টামটা উত্তর ইউনিয়নের সরসুই ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পল্লী চিকিৎসক গৌতম চন্দ্র পালের বাড়ীর সামনে জননী ফার্মেসি এন্ড টেলিকম প্রয়েন্টে কে বা কারা সামনে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এতে দোকানে থাকা ঔষুধ, ষ্টেশনারী সামগ্রী,  ফ্রিজ, মোবাইল সেটে বিকাশ লোডসহ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী চিকিৎসক গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর ৪র্থ দাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার পক্ষে কেন্দ্র কমিটির আহবায়কের দায়িত্বে ছিলাম। তখন থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের রসাতলে ছিলাম। নৌকার মনোনীত প্রার্থী আলমগীর কবির মজুমদার পলাশ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক দর্জির কাছে। এর পর থেকে আমি নানান ভাবে হুমকি দমকির সমক্ষিন হয়েছি।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আগুনের খবর পেয়ে দৌড়ে দোকানে এসে দেখি সামনে দিয়ে আগুন জ্বলছে। পরে ফায়ারসার্ভিস খবর দিলে তারা আসার আগেই সব মালামাল পুড়ে যায়। এ বিষয়ে আমি বাদী হয়ে শাহরাস্তি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

পল্লীচিকিৎসক গৌতম চন্দ্র পালেরর স্ত্রী রিংকু রানী পাল ও ছেলে মানিক চন্দ্র পাল বলেন, আমাদের এ দোকান ছাড়া কোন সম্বল নাই। আমরা স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
স্থানীয় আবু তাহের মজুমদার, ওহিদুল ইসলাম ও হেলাল বলেন, এ ঘটনাটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির জন্য সহানুভূতি কামনা করছি।

এদিকে ঘটনার পরের দিন আওয়ামী লীগের বিজয়ী ও পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানটি পরিদর্শন করেন।

১০ নম্বর টামটা উত্তর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নির্বাচিত চেয়ারম্যান ওমর ফারুক দর্জি বলেন, আগুন লাগার খবর শুনে আমি সরেজমিনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে শান্তনা জানিয়েছি। তারা যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন বরং আমি বিদ্রোহী নির্বাচন পরিচালনা করতে গিয়ে নৌকার প্রার্থীর রসানলে ছিলাম।

শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. মান্নান জানান, অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্তে কাজ করছি। আগুন কিভাবে লেগেছে নে বিষয়ে আমরা তদন্তে শেষে আইনগত ব্যবস্থা অনুযায়ী কাজ করবো। 

প্রতিবেদকঃ জহিরুল ইসলাম জয়,১ জানুয়ারি ২০২২

Share