Home / উপজেলা সংবাদ / শাহরাস্তি / শাহরাস্তিতে দুবছর ধরে এক্স-রে মেশিন অকেজো: ভোগান্তিতে রোগীরা
শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

শাহরাস্তিতে দুবছর ধরে এক্স-রে মেশিন অকেজো: ভোগান্তিতে রোগীরা

চাঁদপুর শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে প্যাথলজি বিভাগ, দুই বছরেরও অধিক সময় নিয়ে অকেজো রয়েছে এক্স-রে মেশিন। যার ফলে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ছে।

বর্তমান করোনাকালীন যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার বিপুল সংখ্যক দূরদূরান্ত থেকে আগত জনসাধারণের।

এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় দুই মাস পূর্বে প্যাথলজির মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মোঃ খোরশেদ আলম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রেষণে চাঁদপুর জেলা সদরে আরটি পিসিআর ল্যাবে চলে যান। এরপর প্যাথলজির দায়িত্ব পালন করেন আরেক টেকনোলজিস্ট প্রদীপ শংকর দাস।

গত ১৬ নভেম্বর প্রদীপ শংকর দাস করোনায় আক্রান্ত হলে তিনি বাড়িতে চলে যান। সেই থেকে বন্ধ হয়ে যায় প্যাথলজি বিভাগ। প্রায় ১০ দিন অতিবাহিত হলেও প্যাথলজি বিভাগ চালু করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।

তবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সদ্য যোগদান কৃত ডাঃ মোঃ জয়নাল আবদীন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, এ বিষয়ে উপরে জানানো হয়েছে। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ল্যাবটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। প্রদীপ শংকর সুস্থ হয়ে চাকুরিতে যোগদান করলে পুনরায় ল্যাবের কার্যক্রম চালু হবে।

এদিকে করোনার নমুনা সংগ্রহ করতে হিমশিম খাওয়ায় এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে প্রাইভেট হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট দিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ করা হচ্ছে বলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ অচিন্ত্য কুমার চক্রবর্তী জানান।

অপরদিকে প্রায় দুই বছরের অধিক সময় ধরে বন্ধ রয়েছে হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগ। এক্স-রে বিভাগের দরজায় ২৪ ঘণ্টাই তালা ঝুলছে। এ ব্যাপারে অফিস সহকারী ইমাম হোসেন জানান, বর্তমান এক্স-রে মেশিনটি অকেজো হয়ে গেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

নতুন একটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন আসার কথা রয়েছে, সেই লক্ষ্যে নতুন একটি কক্ষ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

প্যাথলজি বিভাগের তালিকা অনুযায়ী দেখা যায়, সরকারি প্যাথলজিতে ১৬টি পরীক্ষা করা যায়। এতে সরকারি হিসেবে ফি দিতে হয় রোগীদের। সরকারি প্যাথলজি ও এক্স-রে মেশিন না থাকায় হাসপাতালের সামনে গড়ে ওঠা কিছু বেসরকারি প্যাথলজি সেই সুযোগে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে।

প্যাথলজিগুলোর সাথে কিছু অসাধু ব্যক্তিও সেই সুবিধা গ্রহণ করছে বলে জানা যায়। যথাযথ কর্তৃপক্ষ সাধারণ রোগীদের কথা মাথায় রেখে প্যাথলজি ও এক্স-রে মেশিন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করবেন এ প্রত্যাশা উপজেলাবাসীর।

প্রতিবেদক:মো.জামাল হোসেন,২৭ নভেম্বর ২০২০