শাহরাস্তি

শাহরাস্তিতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৯ : সড়ক অবরোধ

শাহরাস্তি প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৯জন আহত হয়েছে। এতে প্রায় পৌনে এক ঘন্টা চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষোভকারীরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার টামটা উত্তর ইউপির উয়ারুক বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, টামটা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত সদস্য হুমায়ুন কবির মজুমদার এবং টামটা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক দর্জির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

খবর পেয়ে শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মারুফ ও শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।

রাত ৮টায় ওমর ফারুক দর্জির সমর্থকরা চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে। ওই ঘটনায় একে অপরকে দায়ী করেছেন।

এ ব্যাপারে হুমায়ুন কবির মজুমদার জানান, সন্ধ্যার পর তিনি তার দোকান মজুমদার ট্রের্ডাসের বাহিরে কামাল হোসেন নামের চেয়ারম্যান সমর্থক হাতে লাঠি নিয়ে এসে ভান্ডারী মুসা মজুমদারের উপর হামলা চালায়। ওই সময় মুসা ভান্ডারী প্রাণ রক্ষা করতে তার দোকানে এসে আশ্রয় নেয়। উপস্থিত লোকজন ওই সময় কামালকে আটক করে রাখে।

ওই ঘটনায় রাজাপুরা গ্রামের মৃত আবদুস সাত্তারের পুত্র মুসা ভান্ডারী (৪০), টামটা উত্তর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক মোঃ কামরুল হাসান মজুমদার (৩৭) ও টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারী (৩৮) আহত হয়।

এদিকে টামটা উত্তর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক দর্জি জানান, বিকেল ৪টায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাজাপুরা গ্রামের ডাঃ খলিলুর রহমানের পুত্র কামরুজ্জামান (মনা) বের হলে মুরগী জামাল, তাজু কেরানী ও আলীপুর গ্রামের পলাশ তাকে আটক করে বেদম মারধর করে। খবর পেয়ে তিনি বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ এসে বাজারে অবস্থান নেয়।

সন্ধ্যার পর প্রায় ১শ’ লোক দল বেধে আমার দোকানে হামলা করে। এতে মঞ্জুর এলাহী (৩৫), বাচ্চু (৩৫), কামাল (৩৭), শাহীন (২৮), জাবেদ (২৮), মাসুদ (২৫) গুরুতর আহত হয়। ওই ঘটনায় তারা আমার দোকানের আসবাবপত্র ভাংচুর করে।

আহতরা শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উয়ারুক মেডিল্যাব স্পেশালাইজড হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তাদের মধ্যে মঞ্জুর এলাহী, বাচ্চু ও কামালকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় প্রেরণ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মারুফ সবাইকে শান্ত থাকার আহবান জানান। যে কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কঠোর হাতে মোকাবেলা করা হবে বলে তিনি জানান।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান আইন হাতে তুলে না নেয়ার অনুরোধ জানান। সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

শাহরাস্তি করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২: ০০ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার
ডিএইচ

Share