চাঁদপুর শাহরাস্তিতে প্রস্তাবিত হাসমতেন্নেচ্ছা হাসু সাইন্স এন্ড টেকনোলজি কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের স্থান পরিদর্শন করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
১ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে শাহরাস্তি উপজেলার সুচিপাড়া উত্তর ইউপির চেড়িয়ারা গ্রামের মজুমদার বাড়ি সংলগ্ন স্থানে কলেজ প্রাঙ্গণটি তিনি পরিদর্শন করেন।
ওই সময় কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক মজুমদারের সভাপতিত্বে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গনমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় এতে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।
শাহরাস্তি উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী হুমায়ুন কবির, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ রেদোয়ান হোসেন সেন্টু, গণস্বাস্থ্যের ডাঃ রৌশন জাহান পিংকি, প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, যুগ্ন সম্পাদক স্বপন কর্মকার মিঠুন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান হোসেন আখন্দ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ওই সময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী কলেজটির স্থান পরিদর্শনকালে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, স্বাধীনতাকালীন যুদ্ধের সময় আমি এই জনপদে এসেছিলাম। তখন এটি প্রত্যন্ত গ্রাম ছিল। আজ সময়ের প্রেক্ষাপটে স্থানীয় সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপির উদ্যোগে এ শাহরাস্তিতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে।
একসময় আমি এই বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ দেশমাতৃকার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। ওই ধারাবাহিকতায় এই কলেজটি স্থানীয় সাংসদ মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমকে দিয়ে উদ্বোধন করলে তখন আপনারা চাইলে আমিও এসে শরিক হবো।
এছাড়া এই জনপদে মরহুম ড. এম এ সাত্তার ও ড. এলেন সাত্তার এ উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী শিক্ষা কার্যক্রম অনেক অবদান রেখেছিলেন।তিনি তার বক্তব্য আরো বলেন,বর্তমান সময়ের চাহিদা অনুযায়ী বেকার সমস্যা সমাধানে গ্রামে গঞ্জে ভোকেশনাল কারিগরি স্কুল কলেজ বেশী বেশী প্রতিষ্ঠা করার জন্যে সরকারের পাশাপাশি ধনবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
অত্র গ্রামের মজুমদার বাড়ীটি স্বাধিনতার সময় ডাকাতিয়া নদীর দক্ষিণ এলাকাসহ লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের বড় ক্যাম্প ছিল। চাঁদপুর ও লক্ষীপুর জেলার এ মুক্তিযোদ্ধারা এ ক্যাম্পকে সরকারীভাবে এ স্থানকে ঐতিহাসিকভাবে সৃক্রীতি দেওয়া সময়ের দাবী বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ওই সময় স্বাধীনতার যুদ্ধের শেষের দিকে পুরো মজুমদার বাড়ীটা পাকবাহিনী জ্বালিয়ে দেয়।ওই সত্যটা স্থানীয় জনসাধারণ ও দেশবাসি জানতে পারবে। তাদের কোন সন্তানরা মুক্তি সংগ্রামে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিল ও জীবন দান করেছিল।
স্টাফ করেসপন্ডেট,১ জানুয়ারি ২০২০