শাহরাস্তিতে জামিয়া ইসলামিয়া বশির উল্লাহ আরিফা খাতুন মাদ্রাসার উদ্বোধন

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে জামিয়া ইসলামিয়া বশির উল্লাহ আরিফা খাতুন মাদ্রাসার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বাদ আসর শাহরাস্তি উপজেলার মেহের রেল স্টেশন সংলগ্ন এ মাদ্রাসার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বশির উল্লাহ মেডিকেল সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা, জামিয়া ইসলামিয়া বশির উল্লাহ আরিফা খাতুন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ এবিএম সালাহউদ্দিন। বশির উল্লাহ আরিফা খাতুন ফাউন্ডেশনের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নজরুল ইসলাম আজাদের সঞ্চালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক শামসুল আলম, মোঃ জামাল উদ্দিন, হাফেজ কামাল হোসেন, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মাওলানা মাইনুদ্দিন, হাফেজ মোঃ মনির হোসেন, জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বিএসসি, মাদ্রাসার সদস্য গাজী ফিরোজ, কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ হাফেজ আলাউদ্দিন, উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোঃ মাজহারুল ইসলাম মিঠু, মোঃ ইমরান কবিরসহ ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ।

প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন এ প্রথম দৃষ্টি নন্দিত ডিজাইনে, মনোরম পরিবেশে নির্মিত পাঁচতলা ভবনে স্থাপিত জামিয়া ইসলামিয়া বশিরউল্লাহ আরিফা খাতুন মাদ্রাসা।

সকলের জন্য উন্মুক্ত একটি অলাভজনক ধর্মীয় শিক্ষার প্রতিষ্ঠান। সেজন্যেই সাশ্রয়ী খরচে এখানে অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক মন্ডলীর দায়ীত্বে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বিবেচনা করে সম্পূর্ণরুপে সুষম খাদ্যে সরবরাহ করা হবে। ছাএছাত্রীদের সার্বক্ষনিক বশিরউল্লাহ মেডিকেলে চিকিৎসার সুব্যবস্থা রয়েছে।

ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা বিকাশের মাধ্যেমে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও দক্ষ কম্পিউটার শিক্ষক দ্বারা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করে বিশ্বমানের ছাএ-ছাত্রী হিসাবে তৈরির সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে।
আশেপাশের ধর্মীয় কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে আমাদের বিরোধ ও প্রতিযোগিতা নেই। আমরা নিতান্তই একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ধর্মীয় শিক্ষাকে বিকাশের জন্য ও গভেষণা কাজে সহায়তা এবং একমাএ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কার্যক্রম পরিচালনার প্রত্যাশা। সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর সাফ্যল্যের জন্য সকলের সহযোগীতা ও দোয়া কমেনা করছি। ছাত্র -ছাত্রীদের মেধা বিকাশের জন্য শিক্ষক, ছাএছাত্রী ও অভিভাবকদের সমন্বয়ে নিয়মিত মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে এবং আঞ্চলিক ও জাতীয় তথা বিভিন্ন ইসলামিক এবং কোরআন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণের জন্য ছাত্র -ছাত্রীদেরকে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

প্রতিবেদক: মো: জামাল হোসেন, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

Share