চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তিতে বিষপানে হোসনেয়ারা শিউলী (২৬) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর পর লাশ হাসপাতালে রেখে কৌশলে কেটে পড়লো শ্বশুর।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে জরুরি বিভাগে দুই সন্তানের জননীকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মরিচ বেপারী বাড়ির লালমিয়ার পুত্র ওমান প্রবাসী মোঃ মোস্তফার সাথে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার বান্দা গ্রামের মাস্টার বাড়ির মোঃ আবুল হোসেনের মেয়ে হোসনেয়ারা শিউলীর (২৬) এক যুগ পূর্বে বিয়ে হয়।
ওই দম্পতির কোল জুড়ে আসে দুই কন্যা সন্তান সুবর্ণা (৯) ও সুমাইয়া (৬)। এভাবে দম্পতির সংসার ভালেই চলছিলো। এরই মধ্যে জীবিকার প্রয়োজনে ৯ মাস পূর্বে স্বামী মোস্তফা পাড়ি জমান ওমানে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে শিউলীকে শাশুড়ি মায়াজালে আগলে রাখে। গত দেড় মাস পূর্বে শ্বাশুড়ির মৃত্যুতে তার উপর শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। ওই নির্যাতনের মূল ভূমিকায় ননদ আমেনা ও শিরিনা থাকলেও নেপথ্যে থেকে কাজ করেন দুই ভাই তাজুল ও জসীমের স্ত্রী।
এভাবে শিউলী মাত্রাতিরিক্ত অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালে ননদ আমেনা ও শিরিন দুই ভাবির পরামর্শে বেদম প্রহার করে। ওই প্রহার হজম করতে না পেরে সে দুপুরে সবার অজান্তে আত্মহননের চেষ্টা চালায়।
এরই মধ্যে পরিবারের লোকজন শিউলীর বিষপানের বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
কর্তব্যরত ডাক্তার সাইফুল ইসলাম গৃহবধূকে মৃত ঘোষণা করলে শ্বশুর লালমিয়া দ্রুত হাসপাতাল এলাকা থেকে পালিয়ে যান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে অবহিত করলে শাহরাস্তির মডেল থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মোঃ আব্দুল মান্নান ও সঙ্গীয় ফোর্স হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে শিউলীর ভাই রানীশংকৈল উপজেলার মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, আমার বোন খুব ভালো ছিলো, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারে তার মৃত্যু হয়।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট || আপডেট: ০১:২৭ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার
এমআরআর
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur