মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, চাঁদপুর-৫ (শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেছেন, শাহরাস্তিতে কোন কিশোর গ্যাং হতে দেয়া যাবে না। আপনাদের কারো আত্মীয় স্বজন যদি কিশোর গ্যাং থাকে আপনারা সেটার জন্য দায়ী থাকবেন। আমি এখানে কাউকে ছাড় দিব না। আমার কাছে তদবীর করে লাভ হবে না। আপনারা নিজ নিজ পরিবারকে সংযত করেন, সাবধান করেন, না হয় বিপদে পড়ে যাবেন।
আমাদের শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জে কোন গ্যাং হতে দেব না। কেউ কারো জন্য তদবীর করবেন না।এই গ্যাং গুলো একদিন আপনাদের খাবে, আপনারা ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। এজন্য তাদের শুরু হওয়ার আগে নির্মূল করতে হবে। যারা এসব করছে আমরা চিহ্নিত করেছি, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেলে শাহরাস্তি পৌরসভার উদ্যোগে পৌর ভবনের সামনে আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা এবং মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালের আগে শাহরাস্তিতে মাত্র ৫ কিলোমিটার রাস্তা পাকা ছিলো, আজকে শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জে প্রায় সাড়ে ৮ শ’ কিলোমিটার পাকা রাস্তা রয়েছে। ডাকাতিয়া নদীর উপর ৯টি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও ২টি ব্রীজ নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ডাকাতিয়ার উপর নির্মিত ১ম ব্রীজ সূচীপাড়া ব্রীজকে ৪ লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় ৮ শ’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। দুই উপজেলায় ঘরে ঘরে বিনামূল্যে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। শাহরাস্তিতে ডাকাতিয়া নদীর কোল ঘেঁষে ওয়াক ওয়ে নির্মানাধীন, যা সম্পন্ন হলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক রূপ পাল্টে যাবে।
পৌর মেয়র হাজী আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে ও কাউন্সিলর তুষার চৌধুরী রাসেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ন রশিদ, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবদুল মান্নান, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ শাহাবুদ্দিন আলম, কাউন্সিলর রাবেয়া বসরী বকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ইলিয়াস মিন্টু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, জেড এম আনোয়ার প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের প্রয়াত সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।
প্রতিবেদক: জামাল হোসেন, ৬ আগস্ট ২০২২