শাহরাস্তিতে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে র‍্যালী ও সভা

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে জশনে জুলুসে ঈদ এ মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। “মানবতার কাণ্ডারী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) এর আগমন হয়েছিল বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে ”

আজ (১৪ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপন উপলক্ষ্যে আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিবেশেও শাহরাস্তিতে (চাঁদপুর) সর্বস্তরের জনতার ব্যাপক উপস্থিতিতে পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন হয়।

শাহরাস্তি উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত’র সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম এম.এ আল কাদেরীর সভাপতিত্বে উপজেলা সদরের নিজ মেহার মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে সকাল ৯টায় শাহরাস্তি উত্তর ও দক্ষিণের নবীপ্রেমিকরা জমায়েত হয়।

উক্ত মাঠে বিভিন্ন আলেম, পীর মাশায়েখ, শিক্ষক, ইসলামী আলোচক, সংগঠক ঈদে মিলাদুন্নবী(দঃ) এর তাৎপর্য বিষয়ক বক্তব্য রাখেন। তন্মধ্যে তরুণ প্রজন্মের আইডল, সুবক্তা ও প্রখ্যাত ধর্মীয় আলোচক মুফতি গোলাম রাব্বানী কাসেমী নবীপ্রেম, ইসলামের বিশিষ্ট ধারা সূফিজম সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। এদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারে আউলিয়াকে কেরামের অবদানকে স্মরণ করে তিনি বক্তব্য রাখেন। তাঁদের মধ্যে যে নবী প্রেমের আদর্শ ছিল, সেটি ধারণের জন্য সকলকে উজ্জীবিত করেন।

বক্তারা প্রিয় নবীর আগমনে খুশি হয়ে শুকরিয়া করে বলেন- আল্লাহ তাআলা আমাদের নবীকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছিলেন মানবতার মুক্তির দূত হিসেবে। একটি বৈষম্যহীন, অত্যাচারমুক্ত সমাজ গঠনে রাসূল(দঃ) সর্বদা সংগ্রাম করে গেছেন। দুনিয়ার জমিনে তাঁর আগমন না হলে মানব সম্প্রদায় ইসলাম-কোরআন কিছুই পেত না। তাই আমরা রাসূলের আগমনে জশনে জুলুস তথা আনন্দ মিছিল করি; যেভাবে মদিনায় তাঁর আগমন উপলক্ষ্যে মদিনার মানুষজন ‘তলায়াল বাদরু আলাইনা’ গেয়ে তাঁকে মদিনায় বরণ করে নিয়েছিল। আজকের দিনে রাসূল(দঃ) এর সুমহান আদর্শকে বাস্তবায়িত করে একটি সুশৃংখল ও বসবাসযোগ্য পৃথিবী গঠন করা দরকার। আর সেজন্য রাসূলের প্রতি থাকতে হবে অগাধ ভালোবাসা, যাকে হুব্বে রাসূল বলে।

জুলুছে নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার, নারায়ে রিসালাত, ইয়া রাসূলুল্লাহ (দঃ) স্লোগান, ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ সহ অসংখ্য নাত পরিবেশন করা হয়।

উক্ত জশনে জুলুসে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাঃ জালাল উদ্দিন কাসেমী, অ্যাডভোকেট ইনদাদুল হক পাটোয়ারী, আব্দুল মান্নান মোল্লা, মুফতি ফজলুল কাদের বাগদাদী, মাস্টার হেলাল আহমেদ, কাজী আব্দুল হান্নান পাটোয়ারী, গাজী মোঃ আব্দুর রাহীম, কাজী আব্দুল হান্নান, মুফতি আনিসুর রহমান মাক্কী, এডভোকেট শেখ ফরিদ উদ্দিন সহ বিভিন্ন দরবারের পীর-মাশায়েখ পেশাজীবী ছাত্র-শিক্ষক সাধারণ মুসলিম জনতা।

উক্ত জুলুছ কালিবাড়ি মাঠ থেকে উপজেলা পরিষদ হয়ে পুনরায় কালিবাড়ী -ঠাকুরবাজার হয়ে শাহরাস্তি গেইট দোয়াভাঙ্গা এসে মিলাদ ও মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

প্রতিবেদক: মো: জামাল হোসেন, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Share