বিজ্ঞ আদালতের দেওয়া অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকার পরও জোরপূর্বক ঘরের তালা ভেঙ্গে প্রবেশের চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ৬ অক্টোবর শুক্রবার আনুমানিক বিকেল সাড়ে চারটায় চাঁদপুর শাহরাস্তি পৌরসভা সদর ৭ নং ওয়ার্ড নিজমেহার কালিবাড়ি গেইট সংলগ্ন কর্মকার বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে।
বিজ্ঞ আদালতে আবেদনকারী মৃত শ্রীধাম কর্মকারের ছেলে বিপুল কর্মকার জানান, আমার প্রতিপক্ষ রণজিৎ কর্মকার, অজিত কর্মকার, প্রদীপ কর্মকার সর্ব পিতা মৃত নির্মল কর্মকার, সাং সৈয়দপুর প্রকাশ রামপুর কর্মকার বাড়ি, থানা হাজিগঞ্জ এর সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পত্তিগত বিরোধ ও মোকাদমা চলে আসছে। গত ২৭ মে প্রতিপক্ষরা নালিশকৃত সম্পত্তির উপর নতুন ঘর নির্মার্ণের জন্য প্রস্তুতি নেয়। জনবলহীন হওয়ায় আমি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, চাঁদপুরে নালিশী সম্পত্তির উপর ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৪৫ ধারার বিধান মোতাবেক প্রতিকার পাওয়ার প্রার্থনা জানাই। যার দরখাস্ত মোকদ্দমা নং ৬৯২/২০২৩।
বিজ্ঞ আদালতের মাননীয় বিচারক আবেদনটি গ্রহন করে শাহরাস্তি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মহোদয়কে নালিশী ভূমির দখল বিষয়ে মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদনের নিদের্শ দেন। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে শাহরাস্তি থানা অফিসার ইনচার্জকে কার্যার্থে নোটিশ প্রেরন করে। বিজ্ঞ আদালতের আদেশানুযায়ী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মহোদয় কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ কামরুল হাসানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নিদেশ দেন। কানুনগোর ওই প্রতিবেদনের উপর গত ২৬ সেপ্টেম্বর২০২৩ তারিখে একই বিজ্ঞ আদালতে নারাজী আদেশের প্রার্থনা করি। বিজ্ঞ আদালত আদেশের প্রার্থনা গ্রহন করে শাহরাস্তি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মহোদয়কে সরজমিন তদন্ত করে মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদনের নিদের্শ দেন।
এরি মধ্যে তদন্তপূর্ব প্রতিপক্ষগংরা গত ৬ অক্টোবর শুক্রবার দিবালোকে প্রকাশ্যে নালিশী সম্পত্তিতে ঘরের তালা ভেঙ্গে জোরপূর্বক প্রবেশ করে নিজ দখল দেখাতে চেষ্টা করে।
বিষয়টি স্থানীয়দের অবহিত করি। আমাকে তারা আদালতের দ্বারস্ত হওয়ার পরামর্শ দেন।
প্রতিবেদক: জামাল হোসেন, ৭ অক্টোবর ২০২৩