চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর-পূর্বক ধর্ষণ করায় যুবক জাহিদ হোসেন (২১) কে আটক করেছে শাহরাস্তি মডেল থানা পুলিশ।
২১ মার্চ রাতে অন্তঃসত্ত্বা যুবতীর দায়ের করা মামলায় ৯(১) সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩; ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর-পূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে জাহিদকে আটক করে পুলিশ। যার মামলা নং-১৬।
২২ মার্চ আসামি জাহিদকে আদালতে পাঠালে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
আসামি জাহিদ হোসেন শাহরাস্তি উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে। সে প্রাণ কোম্পানীতে চাকুরী করত।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, সুমি আক্তার (ছদ্মনাম) একটি হাসপাতালে কাজ করত। সেই সুবাদে হাসপাতালে যাওয়া আসার সময় জাহিদ এর সাথে সুমির পরিচয় হয়।
২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১০টার সময় শাহরাস্তি উপজেলার ৭নং ওয়ার্ডের নিজ মেহের জোবায়ের হোসেনের ভাড়া বাড়িতে সুমি আক্তার (ছদ্মনাম) এর সাথে দেখে করে।
পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর-পূর্বক বাড়ির পিছনের বাগানে নিয়ে জাহিদ সুমিকে (ছদ্মনাম)ধর্ষণ করে। তারপর থেকে প্রায় সময়ই বাড়ির পিছনের বাগানে নিয়ে সুমির সাথে শারিরিক সম্পর্ক করতো জাহিদ। শারিরিক সম্পর্কের ফলে সুমি(ছদ্মনাম) অন্তসত্ত্বা হয়ে যায়।
সুমি অন্তসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জাহিদকে জানায় এবং বিবাহ করার কথা বলেন। জাহিদ বিষয়টি শুনে কৌশলে পালিয়ে যায়।
মামলার বাদী সুমি আক্তার (ছদ্মনাম) জানায়, বর্তমানে আমি ২ মাসের অন্তসত্ত্বা। আমি জাহিদ কে বিয়ে করতে চাই। আমার আত্মীয়-স্বজন না থাকায় এখন আমি আয়নাতলী মিজি বাড়িতে রয়েছি।
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট,২৪ মার্চ ২০২১