চাঁদপুরের শাহরাস্তির দিগধাইরে বৈদ্যুতিক শর্ট শার্কিটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫টি পরিবারের বসতঘর ও রান্নাঘরসহ ১০টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অন্তত ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন।
২৫ ডিসেম্বর রোববার সকাল ১১ টা উপজেলার সুচিপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দিগধাইর গ্রামের হাজের বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
পরিবার সূত্রে জানা যায় ওই বাড়ির নুরুল ইসলামের ছেলে দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলমের বসতঘর থেকে শট-সার্কিট হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অগ্নিকাণ্ডে মুহুর্তের মধ্যেই জাহাঙ্গীরের বসতঘর ও রান্নাঘর, মো.তাজুল ইসলামের বসতঘর ও রান্নাঘর, মো.দেলোয়ার হোসেনের বসতঘর ও রান্নাঘর, মো.রাশেদ হোসেনের বসতঘর ও রান্নাঘ এবং মো. শহিদ উল্লার বসতঘর ও রান্নাঘরসহ ১০ টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের সংবাদে শাহরাস্তি ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ও স্থানীয় লোকজনের প্রচেষ্টায়আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পূর্বেই ৫টি পরিবারের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান ডা.আব্দুর রশিদ ও বর্তমান ইউপি সদস্য মোরছালিনের সহযোগিতায় এলাকার লোকজন নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে চেষ্টা করে। এর মধ্যে অগ্নিকাণ্ডে ৫টি পরিবারের দীর্ঘদিনের আশা আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নের বসতঘর গুলো এবং আসবাবপত্র সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মোরসালিন জানান বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে অগ্নিকাণ্ডে তাজুল ইসলামের ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, জাহাঙ্গীরের ২ লক্ষ টাকা, দেলোয়ার হোসেনের ৮০ হাজার টাকা ও রাশেদ হোসেনের ৫৫ হাজার টাকা ঘরে রক্ষিত ছিল। তারা বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে টাকাগুলো ঘরে রক্ষিত ছিল
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রশিদ জানান অগ্নিকাণ্ডের ডাক চিৎকারের শুনে আমি আশেপাশের লোকজনের সহযোগিতা নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫টি পরিবারের কোনকিছুই তাদের রক্ষা হয়নি।
র্তমানে তারা সবকিছু হারিয়ে সর্বত্র হয়ে পড়েছে। আমাদের অভিভাবক মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম, এমপি মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন ৫টি পরিবারকে সহযোগিতা করার সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
অগ্নিকাণ্ডের সংবাদে শাহরাস্তি থানা পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.আনোয়ার হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
প্রতিবেদক: জামাল হোসেন, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২