চাঁদপুর সদর

চাঁদপুরে স্কুলছাত্রীকে রাতের আধাঁরে ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত আটক

চাঁদপুরে বালিয়া উবির ১০ম শ্রেণির ছাত্রীকে জঙ্গলে নিয়ে রাতের আধাঁরে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৪ জুলাই( রাত ১ টায় চাঁন্দ্রা ইউনিয়নের দক্ষিন বালিয়া ৯নং ওয়ার্ড ছৈয়াল বাড়ির পিছনে গভীর জঙ্গলে।

বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১২ নং চাঁন্দ্রা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ছৈয়াল রাড়ির অলিউল্লা ছৈয়ালের বখাটে ছেলে রুবেল তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে স্কুলছাত্রীর পরিবার দাবি করেছেন।

এদিকে বিকেলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে মডেল থানার এসআই বিপ্লব অভিযুক্ত রুবেলকে তার বোনের জামাই খাশের বাড়ির হারুন ছৈয়ালের বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, স্কুলছাত্রীর মুখে গামছা বেঁধে শ্লীলতাহানি করে জঙ্গলে ফেলে রেখে রুবেল পালিয়ে যাওয়ার পরে তার পরিবারের স্বজনরা তাকে খুজাখুজি করতে শুরু করে। পরে তারা অজ্ঞান ও বাকরুদ্ধ অবস্থায় জঙ্গল থেকে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে রাস্তায় নিয়ে আসে।

খবর পেয়ে বখাটে রুবেলের মামা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতা মেয়েকে নিয়ে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে না নিয়ে শহরের নাভানা হাসপাতালে ৩১১ নং কেবিনে ভর্তি করায়।

খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ওই হাসপাতালে যাওয়ার পরেই কর্তৃপক্ষ তড়িগড়ি করে চাঁদপুর সরকারিজেনারেল হাসপাতালে রেফার করে।

এছাড়া সাংবাদিদের উপস্থিতি টের পেয়ে রুবেলের মামা ও পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।

স্কুলছাত্রীর ভাই জানায়, বাবা কয়েক বছর পূর্বে মারা যাবার পরে সিএনজি চালিয়ে টাকা উপার্জন করে একমাত্র আদরের ছোট বোনকে স্কুলে পড়ালেখা করাই। আমার পাশের বাড়ির ছেলে মাকসুদ আমার বোনকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্তক্ত করতো।

তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে ও আমাদের বাড়িতেও প্রস্তাব পাঠায়। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঘটনারদিন রাত ১০ টায় আমার মা ঘর থেকে বাহিরে গেলে লম্পট রুবেল তার বোনের জামাই খাশের বাড়ির হারুন ছৈয়াল সহযোগিতায় ঘরে ডুকে জোর করে মুখে গামছা বেধেঁ জঙ্গলে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

পরে রাত ১টায় গভীর জঙ্গল থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে গাইনী বিভাগের ডাঃ ফাতেমা বেগম জানায়, ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর সব ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা বলা যাবে।

এই ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা বাদি হয়ে পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মডেল থানা পুলিশ ঘটনা তদন্তের জন্য হাসপাতালে এসে খোজ খবর নেয়। পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই বিপ্লব অভিযুক্ত রুবেলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এই ঘটনায় আসামী রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা দয়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি

Share