চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার দেবকরা মারগুবা ড.শহীদুল্লাহ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের হতে এসএসসি পরীক্ষার্থী সাগর ইসলামকে পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে হতে তুলে নেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ কামাল উদ্দীনের শাস্তির দাবিতে সোচ্ছার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
ইতোমধ্যে শাহরাস্তি মডেল থানা হতে তাকে প্রত্যাহার করে চাঁদপুর পুলিশ লাইনে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনার ফেসবুকে প্রকাশিত হলে এসআই কামালের শাস্তির দাবিতে একের পর এক প্রতিবাদমূলক পোস্ট, কমেন্ট ও শেয়ার ভাইরাল আকার ধারণ করে।
ফেসবুক ব্যবহারকারী কামরুল বেপারী কমেন্টে জানান, ‘আমরা কি জানতে পারি ছেলেটা কয়টা খুন করেছে।’
এমরান হোসেন জানান, ‘কামাল সাহেব আগে যখন শাহরাস্তি থেকে ক্লোজ হয়েছে তখন আমি তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছি। এরপর আমার দোকান থেকে এক জনকে ধরে নিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা আদায় করেছে।’
বাসার আল মাদানি জানান, ‘আমরা এ বিষয়ে এমপি মহোদয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করি।’
আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, ‘প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হয়ে শাসকের ভূমিকা অবতীর্ণ হওয়া কামাল সাহেব আপনার নিস্তার নাই।’
মো. মিজানুর রহমান লিখেছেন, ‘জাতি হতাশ আপনার এ কর্মকান্ডে। আজ আপনি ব্যক্তি কামালের জন্য পুরো পুলিশ প্রশাসন প্রশ্নবিদ্ধ।’
মো. মমিন লিখেছেন ‘আমি এর তীব্র ঘৃনা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।,
মো. মোস্তফা কামাল লিখেছেন, ‘এসআই কামালের কঠিন বিচার হওয়া উচিত। আমরা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি ।’
একরাম হোসেন রিংকু লিখেছেন, ‘এসআই কামাল তোর বুঝি একটু মায়া হলো না। তার জীবনের একটি বছর নষ্ট করে দিলি। তুই কেমন মানুষ? তোর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।’
প্রসঙ্গত, উপজেলার দেবকরা ভূঁইয়া বাড়ির মোস্তফা কামাল ভূঁইয়া ও নরুল হক ভূঁইয়া পরিবারের মধ্যে গত ১ ফেব্রুয়ারী ভুমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে মারধরের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় নরুল হক ভূঁইয়া বাদী হয়ে শাহরাস্তি মডেল থানায় মোস্তফা কামাল ভূঁইয়া সহ ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-০১, তাং-০১/০২/১৭ইং। মামলার আতংকে পরীক্ষার্থী সাগর ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন বাড়ি থেকে অন্যত্র সরে পড়ে। পরের দিন ২ ফেব্রুয়ারী বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা দিতে আসলে কেন্দ্রের সামনে থেকে এসআই কামাল উদ্দীন তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসলে তার পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মারুফ ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আলী আশ্রাফ খান কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে সাগরের বাকি পরীক্ষা দেয়া নিশ্চিত করেন।
যার ফলশ্রুতিতে পরীক্ষার ২য় দিন বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে সাগর।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মারুফের নির্দেশে ওই ছাত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে উপজেলা ডাকবাংলোতে রেখে তার পরীক্ষা দিতে যাওয়া নিশ্চিত করা হয়েছে।
শাহরাস্তি করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭: ১০ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, রোববার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur