শাশুড়ি আর বৌমা৷ একটি অদ্ভুত সম্পর্ক৷ এই সম্পর্ক যেন কখনওই সম্পূর্ণ আন্তরিক হয় না৷ স্বামীকে নিয়ে এই দুয়ের মধ্যে যেন দড়ি টানাটানি চলে৷ শাশুড়ি নিজের বিবাহিত জীবনের প্রারম্ভার কথাও ভুলে যান আবার মনে থাকলে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটান৷
না চাইতেও একটি অদ্ভুত দূরত্ব থেকেই যায় এই দুয়ের মধ্যে৷ সেই সম্পর্ককে কিভাবে ঠিক রেখে চলবেন তারই কিছু উপায় দেওয়া হল আপনাকে৷
এগুলি মেনে চললে কিছুক্ষেত্রে হয়তো সমস্যার সমাধান হবে৷
১) অতিরিক্ত আশা করা উচিত না মনে করবেন না যে আপনার শাশুড়ি আপনার মায়ের মতো করেই আপনাকে আদর-যত্নে রাখবেন বা মেয়ে আপনাকে যেভাবে রেখেন বৌ আপনাকে সেভাবেই রাখবেন৷ এরকম আশা করাই ভুল। যখনই বেশি আশা থাকে তখনই সেখানে আশাভঙ্গের কষ্ট পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আর সম্পর্কে ফাটল ধরে ঠিক তখনই। তাই বাস্তব আশা করুন, সম্পর্ক ভালো থাকবে।
২) ছাড় দিন দুপক্ষই পরষ্পরকে ছাড় দিন। ছোটোখাটো বিষয় একেবারেই মনে রাখবেন না। যেখানে কথা বললে ঝগড়া বাঁধার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে চুপই থাকুন। এড়িয়ে চলুন সেই সময়টা৷
৩) কাজ ভাগ করে নিন একজন আরেকজনের কাজে নাক না গলিয়ে কাজ ভাগ করে নিন। এতে শান্তি বজায় থাকবে সংসারে এবং সম্পর্কে।
৪) অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন ছাড় দেওয়ার অর্থ এই নয় যে যদি অত্যাচার করেন কেউ তাহলে তা মুখ বুঝে সহ্য করে যেতে হবে। নিজের অধিকারের জন্য একটু হলেও কথা বলতে হবে। তখন শাশুড়ি এবং বউ দুজনেই বুঝে যাবেন সম্পর্ক ঠিক রাখাই দুজনের জন্য ভালো।
৫) অতিরিক্ত করে ফেলবেন না আপনি যদি প্রথমেই অতিরিক্ত করেন শাশুড়ি বা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের প্রতি তাহলে তাদের আশা আরও বেশি বেড়ে যাবে যা আপনি আর পূরণ করতে পারবেন না। তখনই কিন্তু সম্পর্ক খারাপ হবে। তাই আগে থেকেই অতিরিক্ত কিছু করতে যাবেন না।
৬) নিজেরাই নিজেদের বাউন্ডারি তৈরি করে দিন কে কার ব্যাপারে কতোটুকু বলতে পারবেন তার একটি বাউন্ডারি তৈরি করে ফেলুন নিজেরাই এবং সেভাবেই চলুন। এতে করে মনে হবে না দুজন দুজনের কাজে অযথা নাক গলাচ্ছেন। এতে সম্পর্ক সুখের হবে।
৭) কখন কথা বলা উচিত এবং উচিত নয় তা বুঝুন সম্পর্ক তখনই ভালো থাকে যখন নিজের সীমা কতোটুকু তা বুঝে মুখ বন্ধ করে ফেলা যায়। কারণ আপনার হুট করে বলে ফেলা একটি কথাতেই সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে।
৮) শাশুড়িকে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে না আনাই ভালো স্বামী-স্ত্রীর নিজস্ব কিছু ব্যাপার থাকে যেখানে শাশুড়ির না যাওয়াই ভালো এবং স্ত্রীর উচিত স্বামীর কাছে শাশুড়ির নামে কটু কথা না বলা। এতে সংসারে সুখ থাকবে দুদিক দিয়েই।
৯) শাশুড়ি-বউয়ের মাঝে অন্য কাউকে আনবেন না ঝগড়া শুরু হওয়ার মূল কারণ অনেক ক্ষেত্রেই তৃতীয় ব্যক্তির উস্কানি হয়ে থাকে। তাই নিজেদের মধ্যে তৃতীয় কাউকে কথা বলতে দেবেন না। এতে সম্পর্ক ভালো থাকবে।
১০) অতিরিক্ত অভিযোগ করবেন না অতিরিক্ত অভিযোগ মনকে বিষিয়ে তোলে অল্পতেই। তাই অভিযোগ না করে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন দুপক্ষই।
লাইফস্টাইল ডেস্ক ।। আপডেট : ০৬:৪২ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৫, রোববার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur