জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের পর শামীম পাটওয়ারী বলেছিলেন ‘মোটামুটি খেলেছি। কিন্তু ম্যাচ জেতাতে পারলে আরও ভালো লাগত।’ সেদিন অভিষেকে ১৩ বলে ২৯ রান করে আউট হয়েছিলেন। মারকুটে এই ব্যাটসম্যানের কথায় ম্যাচ না জিতিয়ে আউট হওয়ার আক্ষেপ স্পষ্ট।
আজ অবশ্য শামীমের আক্ষেপ করার কথা নয়। গত ম্যাচে না পারলেও আজ দেশের জার্সিতে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া ইনিংস খেলেছেন শামীম। ১৫ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংসে বাংলাদেশের ৫ উইকেটের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন এই বাঁহাতি। আজকের জয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিল বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ের জন্য আদর্শ উইকেটে জিম্বাবুয়ের করা ১৯৩ রান তাড়া করতে হলে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারের সব সিলিন্ডার জ্বলে উঠতে হতো। রান দরকার ছিল টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে। মাঝের ওভারে ভালো জুটির পর দরকার ছিল শেষ দিকে ঝোড়ো ব্যাটিং। আজ বাংলাদেশ সব বক্সেই পেল টিক চিহ্ন।
সিরিজের শুরু থেকেই ধারাবাহিক সৌম্য সরকার আজও টপ অর্ডারে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের শূন্যতা টের পেতে দিলেন না। শুরুতেই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম আউট হন। এরপর সৌম্যর ৪৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংসে প্রায় দুই শ ছুঁই ছুঁই রানটা খুব কাছের মনে হচ্ছিল। প্রথমে সাকিব আল হাসান ও পরে মাহমুদউল্লাহ তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন, গড়েছেন প্রত্যাশিত জুটি।
বাকিদের কাজ ছিল ক্রিজে এসে চার-ছক্কায় রান রেট নাগালে রাখা। সেটি দারুণভাবে করেছেন আফিফ হোসেন ও শামীম। আফিফ ৫ বলে ২ ছক্কায় ১৪ রান করে আউট হলেও তাঁর অসম্পূর্ণ কাজটাই শেষ করেন শামীম। ১৫ বলে ৬টি চার মেরে ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ শেষ করে আসেন শামীম।
ম্যাচ শেষ করে আসাই পছন্দ ২০ বছর বয়সী এই তরুণ অলরাউন্ডারের। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চলাকালে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচ শেষ করে আসা খুব উপভোগ করি। ব্যাটিংয়ের এদিক আমার পছন্দ। ইনিংসের শেষের চাপটা নিতে পছন্দ করি। মুহূর্তটা জয় করতে পছন্দ করি। ম্যাচ শেষ করে আসার পুরো প্রক্রিয়াই আমার পছন্দ।’
আজ অপরাজিত ৩১ রানের ইনিংস খেলে যেন নিজের দেওয়া কথাটাই রাখলেন শামীম পাটওয়ারী । নিজের এমন মারকুটে ব্যাটিং-প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যাও করেছেন তিনি, ‘ব্যাটিংয়ের সময় আমার চিন্তা থাকে ইতিবাচক থাকার। প্রথম বলে যদি মারার বল পাই, মেরে দিই। আর কিছু না। এর বাইরে কিছু ভাবি না। আমি যখন ব্যাটিংয়ে নামি, তখন সময় তেমন থাকে না। আমাকে স্ট্রাইক রোটেট করে খেলতে হয়। চার-ছক্কার খোঁজে থাকতে হয়। স্ট্রাইক রেট ঠিক রাখতে হয়। টি-টোয়েন্টিতে স্ট্রাইক রেট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছুই বিবেচনা করতে হয়। ম্যাচের ওই অবস্থায় বেশির ভাগ সময় দ্রুত রান তোলাই থাকে আমার কাজ।’
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur