জাতীয় ফুল শাপলা দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি তরকারি হিসেবে এটি খেতেও বেশ সুস্বাধু। কেউ খায় শখ করে, আবার কেউ খায় অভাবে পড়ে। অভাবগ্রস্ত বা নিতান্ত গরিব মানুষ এ বর্ষা মৌসুমে জমি থেকে শাপলা তুলে তা দিয়ে ভাজি বা ভর্তা তৈরি করে আহার করে থাকেন। আর শহরের মানুষ শখের বশে এ মৌসুমে ২-৪ দিন শাপলা তরকারি বা ভাজি খেয়ে থাকেন। শাপলা বিক্রি করে এখন জীবিকা নির্বাহ করছে কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পরিবার। এমন চিত্র দেখা গেছে কচুয়া পৌর বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে শাপলা বিক্রি করতে।
কচুয়া পৌর বাজারে ছিদ্দিকুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ভ্যান গাড়ি করে প্রতি বর্ষা মৌসুমে শাপলা বিক্রি করছেন। শাপলা বিক্রি করে তিনি সংসার চালাচ্ছেন। সংসারে রয়েছেন তার স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়ে। তিনি পাশ^বর্তী মতলব দক্ষিন উপজেলার খিলপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে । কাশিমপুর সহ নিজ এলাকার কৃষি জমি থেকে প্রতিদিন ভোর রাতে শাপলা তুলে কচুয়া উপজেলা বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। আর এ শাপলা বিক্রি করে ছিদ্দিকুর রহমান তার পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
মতলব দক্ষিন উপজেলার খিলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাপলা বিক্রেতা ছিদ্দিকুর রহমান জানান, এ সময়ে একেক জনে কমপক্ষে ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ মোঠা (৬০ পিস শাপলায় ১ মোঠা ধরা হয়) সংগ্রহ করতে পারে। এক মোঠা শাপলা ২০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন কাশিমপুর বিল থেকে শাপলা সংগ্রহ করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দৈনিক ১ হাজার থেকে ১৫শ টাকা বিক্রি করে থাকি। শাপলা বিক্রি করে আমি সংসার চালাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, কষ্টসাধ্য এ কাজ এখন আর ভালো লাগে না। কোনো বিত্তবান লোকের সহযোগিতা পেলে এ পেশা ছেড়ে ভালো ব্যবসা করতে চান তিনি।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু,২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur