Home / লাইফস্টাইল / চিন্তা ও উদ্বেগমুক্ত শান্তিপূর্ণ ঘুম হওয়ার জন্য যা করবেন
ঘুম হওয়ার জন্য

চিন্তা ও উদ্বেগমুক্ত শান্তিপূর্ণ ঘুম হওয়ার জন্য যা করবেন

‘নির্ঘুম একটি রাত কাটার পর শুভ সকাল’, প্রায় প্রতিদিনিই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এভাবে ঘুম না হওয়ার কথা জানান। কিছুদিন ধরে রাতে ঘুম হচ্ছে না, ঘুমাতে গেলেই মনে হয় ঘুমাতে পারবেন না?

আমরা জানি ঘুম আমাদের জন্য কত বেশি প্রয়োজন।

সম্প্রতি সুইডেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম খুবই দরকারি। ওই গবেষণায় দেখা গেছে, এক রাত ঘুমহীন কাটলেই মস্তিষ্কের টিস্যুতে ক্ষয় ধরে।কিন্তু এই ঘুম না হওয়ার জন্য ঘুমকে দায়ি না করে নিজে ঘুমানোর জন্য কি করছেন এই হিসাব করুন। ঘুম ভালো হওয়ার জন্য যা করবেন:

অনেকেই ঘুমের আগে চা কফি পান করেন। কিন্তু ক্যাফিন ঘুম না হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এজন্য সন্ধ্যার পর থেকে চা-কফি পান করা যাবে না
ধূমপান সরাসরি শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে। শুধু তাই নয়, ধূমপান করলে ঘুমেরও ক্ষতি হয়
ফ্যাটজাতীয় বা যেকোনো খাবার অতিরিক্ত খেলে ঘুমের ওপর প্রভাব পড়ে
ভৌতিক বা অ্যাডভেঞ্চার ছবি দেখলেও ঘুমের সমস্যা হতে পারে
ঘুমাতে যাওয়ার সময় প্রিয় স্মার্টফোনটি বিছানায় নেবেন না
রাত ১০টা / ১১টার মধ্যেই ঘুমোতে যান। এসময় বিছানায় গেলে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কখনোই ভাববেন না যে ঘুম আসবে না।

যেভাবে রাতে চিন্তা ও উদ্বেগ মুক্ত শান্তিপূর্ণ ঘুমানো যায় :

১) সকালে তন্দ্রা অবস্থায় দীর্ঘায়িত সময়সীমার জন্য বিছানায় না থাকা

২) ঘুম আনার জন্য দীর্ঘ সময় ব্যয় করবেন না। এক ঘন্টা থেকে আধা ঘন্টার মধ্যে ঘুম পেতে অসুবিধা হলে বিছানা থেকে উঠে শয়নকক্ষ ছেড়ে অন্যান্য কাজে নিয়োজিত হওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন – একটি বই বা উপন্যাস পড়ার চেষ্টা করুন.

৩) ঘুমোতে যাওয়ার আগে সমস্যা ও উদ্বেগ নিয়ে চিন্তা করবেন না যা ঘুম আসতে সমস্যা সৃষ্টি করবে।

৪) যে সব উদ্বেগ ও সমস্যা ঘুমের সমস্যার সৃষ্টি করে তা কাগজে লিখুন এবং শান্তিপূর্ণ মনের সাথে বিছানায় ঘুমাতে যান।

৫) ঘুমানোর সময় কোনো বিষয় এ উদ্বেগ দেখা দিলে তা থেকে মনকে মুক্ত করার জন্য কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা বস্তুর উপর মনোযোগ একীভূত করতে হবে এবং তা বুঝার চেষ্টা করতে হবে।

৬) বিছানায় এমনভাবে পিঠ লাগায় শুইতে হবে যা আপনার সব অভ্যন্তরীণ অঙ্গকে সঠিকভাবে বিশ্রাম দিবে এবং এটি দেহ শিথিল করতে সেরা অবস্থান।

৭) কখনোই পেটের উপর ভর করে শোয়া যাবে না যা ফুসফুস সহ সব অভ্যন্তরীণ অঙ্গের উপর চাপের কারণ হিসাবে কাজ করে এবং এর ফলে শ্বাসক্রিয়ায় সমস্যা হয়।

৮) পিছন ফিরে পেট ঘেষে শুইলে তা পাচনতন্ত্র প্রশমিত এবং পাচন প্রক্রিয়া উন্নতিতে সহায়তা করে ফলে ভালো ঘুম হয়।

বার্তাকক্ষ, ০৪ অক্টোবর,২০২০;

কে. এইচ