সারাদেশ

শহীদ মিনারে বোমাবাজি : আটক ১০

একুশের প্রথম প্রহরে যশোরে শহীদ মিনারে বোমাবাজির ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রোববার দুপুর পর্যন্ত ১০ জনকে বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ আটক করা হয়েছে বলে জেলার পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, কোতোয়ালি থানার এসআই আসাদুজ্জামান রোববার সকালে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

“ঘটনার পর রাতেই সরকারি এমএম কলেজের আসাদ হলে অভিযান শুরু করে পুলিশ। দুপুর পর্যন্ত সেখান থেকে ১০টি হাতবোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ইয়াবাসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।”

আটকদের মধ্যে আকাশ, বিজয়, মহিদুল ও সুমনের নাম জানা গেছে, যারা এমএম কলেজ ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুলের সমর্থক বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।

তবে পুলিশ সুপার গ্রেপ্তারদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে কোনো তথ্য দেননি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে যশোর সরকারি এমএম কলেজে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম ফুল দেন সদর আসনের সংসদ সদস্য নাবিল। এরপর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ফুলে দেওয়ার পরপরই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ফুল দিতে বেদীতে যায় নেতাকর্মীরা।

এসময় তারা হট্টগোল শুরু করলে পুলিশ থামানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে শহীদ বেদীর উত্তরপাশে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। একটি হাতবোমা শহীদ মিনারের সামনে বিস্ফোরিত হলে পুলিশ ফাঁকা গুলি চালানো শুরু করে।

এসময় শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানাতে আসা নারী-পুরুষ ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে ছুটাছুটি শুরু করে। মুহূর্তে ফাঁকা হয়ে যায় শহীদ মিনার এলাকা।

এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও প্রথম প্রহরের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের আয়োজন পণ্ড হয়ে যায় বলে কোতয়ালি থানার ওসি ইলিয়াচ হোসেন জানান।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংসদ সদস্যের বিরোধী’ একটি পক্ষ হট্টগোলের চেষ্টা করে।

“এক পর্যায়ে তাদের নিজেদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় এবং ৫/৬টি হাতবোমার বিষ্ফোরণ ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং কাঁদুনে গ্যাসে নিক্ষেপ করে।”

তবে হামলা জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগ নেতা বিপুল বলেছেন, সংসদ সদস্যের লোকজনই ওই ঘটনা ঘটিয়েছে।

 

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৩:০৯ অপরাহ্ন, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, রোববার

এমআরআর

Share