চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি

১৪ ডিসেম্বর চাঁদপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয় ২৭ নভেম্বর বেলা ১১ টায়। এতে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুরের মান্যবর জেলা প্রশাসক মো.নাজমুল হাসান সরকার।

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে আমন্ত্রিত উপস্থিত সকলকে আলোচনা কার আহবান জানানো হয়। জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর বা বিভাগীয় প্রধান .বীরমুক্তিযোদ্ধা,পেশাজীবী,সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীগণ স্ব স্ব অবস্থান থেকে মতামত দেন।

চাঁদপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনে ২টি উপ- কমিটি ও ৫টি সিদ্ধান্ত নেয় হয়। উপ-কমিটি হলো- পুষ্প অর্পণ ও আলোচনা উপ-কমিটি। ১৪ ডিসেম্বর জেলার বিভিন্ন সরকারি বিভাগের পক্ষে সকাল ৯ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সকাল ১০ টায় সদর উপজেলা পরিষদ হল রুমে দিবসটির তাৎপার্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হবে।

সুবিধাজনক সময়ে- মসজিদ,মন্দির ,গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনা।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস রোববার

১৪ ডিসেম্বর রোববার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে একটি কলঙ্কের দিন। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নিধনের মর্মন্তুদ স্মৃতিঘেরা বেদনাবিধুর দিন। বাঙালির মেধা-মনন-মনীষা শক্তি হারানোর দিন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ৯ মাস রক্তগঙ্গা পেরিয়ে গোটা জাতি যখন উদয়ের পথে দাঁড়িয়ে, ঠিক সেই সময়ই রাতের আঁধারে পরাজয়ের গ্লানিমাখা পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বেছে বেছে হত্যা করে।

বিজয়ের মাত্র দু’দিন আগে এ দিনে দেশকে মেধাশূন্য করার পূর্বপরিকল্পনা নিয়ে ঘর থেকে তুলে নিয়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বাঙালি জাতির সেরা শিক্ষক,সাংবাদিক, চিকিৎসক,প্রকৌশলী,
সাহিত্যিক,বুদ্ধিজীবীসহ দেশের বরেণ্য কৃতী সন্তানদের। ডিসেম্বরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ সময়ে বাঙালির বিজয় যখন সুনিশ্চিত তখন বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের একের পর এক হত্যা করা হয়।

শিক্ষক,সাহিত্যিক, চিকিৎসক,সাংবাদিকসহ বেছে বেছে জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যা করে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের তখন চূড়ান্ত পর্যায়। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী তখন প্রায় পর্যুদস্ত। তখনি ১০- ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তালিকা ধরে বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘৃণ্যতম অপকর্মটি করে ঘাতক চক্র। তাদের উদ্দেশ্য ছিল- বিজয়ী বাঙালি জাতি যাতে মেধাশূন্যতার কারণে ভবিষ্যতে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।

এ সময় সান্ধ্য আইনের মধ্যে রাতের আঁধারে তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে অপহরণ করে চোখ বেঁধে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নিয়ে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া অনেক বুদ্ধিজীবীকে তুলে নিয়ে যায় হানাদাররা।

যাদের আজ পর্যন্ত কোনো খোঁজ মেলেনি। এরপর থেকেই প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করে আসছে দেশবাসী। যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।

আ ব দু ল গ নি
ডি সে ম্ব র ২ ০ ২ ৫
এ জি