ঘড়ি ধরে খাবার ঝামেলা নেই। শসার সাথে খেতে পারবেন অন্য খাবারও। আবার ব্যায়াম করার যন্ত্রণাও নেই। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে শুধু শসার একটি ডায়েটে আপনি মাত্র ১৪ দিনে ১৫ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে পারবেন
কেবল একটা সহজ নিয়মে দারুণভাবে কমবে আপনার ওজন। ডায়েটের পদ্ধতিটি জানার আগে আসুন জেনে নিই শসার কিছু পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে।
শসার পুষ্টি উপাদান :
শসা ভিটামিন এবং মিনারেল পরিপূর্ণ একটি সবজি যার প্রায় ৯৬ শতাংশই পানি। শসা ভিটামিন-কে, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ফলিক এসিড, পটাশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের উত্তম উৎস।
এ ছাড়া রিবোফ্লাবিন, প্যান্টোথেনিক এসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সালফার, সিলিকা এবং ভিটামিন বি-৬ আছে বেশি পরিমাণে। ১০০ গ্রাম শসায় খাদ্যআঁশ আছে প্রায় ০.৬ গ্রাম, শর্করা ৩.৬১ গ্রাম এবং চিনি ১.৬৮ গ্রাম। এতে আরো রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, কিউকারবিটাকিন্স, লিগনান্স এবং ফ্লাভনয়েডস।
শসার ডায়েট :
শসার সালাদ তৈরি করে আপনি ডায়েটটি শুরু করতে পারেন। এই ডায়েটটি করার জন্য আপনি যখনই ক্ষুধা অনুভব করবেন তখনই এই পুষ্টিকর সবজিটি খেয়ে ফেলবেন।
১০-১৪ দিনের এই ডায়েটে আপনার অতিরিক্ত মেদপূর্ণ শরীরটি হয়ে উঠবে আকর্ষণীয়। তবে শুধু শসা খেয়ে তো আর ১৪ দিন থাকা সম্ভব না। এ কারণে শরীরের অন্যান্য পুষ্টি পূরণে শসার ডায়েটটির সাথে যে উপাদানগুলো খাবেন প্রতিদিন।
# ২ টি ডিমের সাদা অংশ বা ১৫০ গ্রাম বড় মাছ বা ১৫০ গ্রাম মুরগির মাংস
# ২টি বড় সিদ্ধ আলু বা ৩ টুকরো পাউরুটি
# পুষ্টিকর যেকোনো ফল ৫০০ গ্রাম
পানীয়র মধ্যে পানি, চা বা চিনি ছাড়া কফি খেতে পারেন। তবে যেকোনো ধরনের সফট ড্রিংক বা অ্যালকোহল বা ক্যানডি একেবারে নিষিদ্ধ।
এভাবে আপনি ১৪ দিনের একটি ডায়েট করলে ১৫ পাউন্ড মত ওজন নিমেষেই কমিয়ে অানতে পারবেন। তবে যে কাজটি অবশ্যই করবেন তা হল আপনার যখনই ক্ষুধা লাগবে তখনই অন্য কোনো খাবার না পুষ্টিগুণে ভরা এই শসা খেয়ে ফেলবেন। মোটেও খালি পেটে থাকবেন না। খালি পেটে থাকলে ওজন কমবে না। আর এই ডায়েট দুইমাসে একবারের বেশী করা যাবে না মোটেও।