শর্তসাপেক্ষে পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে নির্বাচনের তফসিল ১৫ দিন পেছানোর দাবিও জানিয়েছে দলটি।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘দলের সিনিয়র নেতা ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামত বিশ্লেষণ করে বিএনপি চেয়ারপারসন গত রাতে (বৃস্পতিবার) এই বিষয় সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর পৌর নির্বাচন হওয়ার কথা। এর তিন দিন পর নতুন ৫০ লাখ ভোটার অন্তরভূক্ত হবে। এখানে এ ভোটারগুলো প্রথম বারের মত ভোট দান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই ১৫ দিন সময় বৃদ্ধি করার দাবি জানাচ্ছি।’
রিপন বলেন, ‘২৩টি পৌর এলাকা থেকে অভিযোগ পেয়েছি, বিএনপির প্রার্থীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। মনোনয়োন কিনতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা দাবি করছি একাধিক স্থানে মনোয়ন জমা দেওয়া ও তোলার ব্যবস্থা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে যৌথবাহিনী অভিযানের নামে গণগ্রেফতার করছে। তাতে বিরোধী দলের প্রার্থী সমর্থকরা এলাকায় থাকতে পারছেন না। এই গণগ্রেফতার বন্ধ করতে হবে অন্যথায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ হবে না।’
‘ভুঁইফোড় সংগঠনগুলোকে নির্বাচনের পর্যবেক্ষকের অনুমতি দেওয়া যাবে না।’ যোগ করেন তিনি।
এ সময় তিনি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বন্ধ সামাজিক মাধ্যমগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারপাম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এএস এম আবদুল হালিম, সংগঠনিক সম্পাদক হারুন আর রশিদ, সহ-আইন বিষয়য়ক সম্পাদক এ্যাভভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, নিবার্হী কমিটির সদস্য শাম্মী আক্তার, তকদির হোসেন জসিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মো. আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৪:০২ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৫, শুক্রবার
এমআরআর