১. ডায়েটিং মানে না খাওয়া নয়
অনেকেই ডায়েটিংকে খাবার না খাওয়ায় রূপান্তরিত করেন। যদিও বিষয়টি ভুল। ডায়েটিং মানে খাবার বাদ দেওয়া নয়। অনেকেরই আবার ধারণা ডায়েটিংয়ে ভালো খাবার বাদ দিয়ে বিরক্তিকর খাবার খেতে হবে বা সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে। যদিও বাস্তবে ডায়েটিংয়ে আপনি খাবার খেতে পারবেন এবং তাতে ভালো অনুভবও করতে পারবেন। এছাড়া একই সঙ্গে আপনি দেহের ওজনও কমাতে পারবেন। এজন্য সঠিক খাবার খেতে হবে, যার মাধ্যমে আপনি শরীর ও মনে ভালো অনুভূতি তৈরি করতে পারবেন এবং জীবনযাপনের মান বাড়াতে পারবেন।
২. রুটিন
মস্তিষ্কের রসায়ন অত্যন্ত জটিল। কখনো আমি জিমে যেতে অস্বস্তিবোধ করে এবং খাওয়ার পর শান্তি অনুভব করি। এ বিষয়টি মূলত আপনার রুটিনের ওপর নির্ভর করবে।
৩. ডায়েট, শারীরিক অনুশীলন ও ঘুম
এ সময়ে নিজেকে ভালো ও তরুণ দেখানো ক্রমে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এ কারণে আপনার তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে- ডায়েট, শারীরিক অনুশীলন ও ঘুম। এক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করার কোনো প্রয়োজন নেই। সার্জিক্যাল কোনো উপায়ও মেনে চলার প্রয়োজন নেই। মাত্র কয়েকটি নির্দিষ্ট উপায়েই ফ্রেশ দেখানো সম্ভব, যা হলো ভালোভাবে ডায়েট মেনে চলা, যথাযথ শারীরিক অনুশীলন করা ও পর্যাপ্ত ঘুমানো।
৪. শারীরিক অনুশীলন
বহু মানুষই বলেন, তারা ব্যায়াম বা শারীরিক অনুশীলনের জন্য যথেষ্ট সময় পান না। যদিও এটি হাস্যকর কথা। আপনি যদি গোসল করার জন্য সময় পান কিংবা অন্য বিষয়কে গুরুত্ব দেন তাহলে শারীরিক অনুশীলনের জন্যও সময় পাবেন। এক্ষেত্রে আপনার জীবনের ওপর শারীরিক অনুশীলনের প্রভাবটি বুঝতে হবে। এতে এমনকি আপনার সম্পর্কও উন্নত হবে।
৫. শরীরের কথা শুনুন
কখনো আপনার শারীরিক অনুশীলনের শুরুটা ভালোই হয়। কিন্তু যখন এ অনুশীলন আরও বেড়ে যায় তখন পরিস্থিতি তেমন থাকে না। তাই এটি সঠিক নয়। আপনাকে কয়েকটি নির্দিষ্ট বিষয় মেনে চলতে হবে। আপনার নিজের শরীরের কথা শুনতে হবে। শারীরিক অনুশীলন নির্দিষ্ট মাত্রায় করতে হবে। যখন ক্লান্ত হবেন তখন বিশ্রাম করতে হবে।
৬. সঠিকভাবে সাজাতে হবে
আপনার মুখের সবকিছুরই প্রভাব পড়বে। এ কারণে আপনার জীবনকে সঠিকভাবে সাজাতে হবে। আপনি যদি বিষয়গুলো গুছিয়ে নিতে পারেন তাহলে বুঝবেন সবকিছু ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
৭. ভালোভাবে জীবনধারণ
সুন্দর মানুষ তারাই যারা জানে কিভাবে ভালোভাবে জীবনধারণ করতে হয়। এ কারণে আপনার দেহের প্রয়োজনীয়তার দিকে মনোযোগী হোন। তাকে কোনো দিকে চালিত করার জন্য জোর খাটানোর প্রয়োজন নেই।
৮. নিয়ম মেনে চলুন
মানুষের জিন হলো শুধু প্রবণতা মাত্র। সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললেই আপনি তাকে বদলাতে পারবেন, ভালোভাবে বাঁচতে পারবেন।