শরণার্থীদের স্রোত ঠেকাতে জার্মানির সঙ্গে সব ধরনের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে ডেনমার্ক। বুধবার দেশটির সীমান্তে প্রায় সাড়ে তিনশ শরণার্থীকে জোর করে জার্মানিগামী ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয়ার পর এই পদক্ষেপ নিলো দেশটি।
জার্মানি-ডেনমার্কের মধ্যে সংযুক্ত একটি সড়কও বন্ধ করে দিয়েছে ড্যানিশ পুলিশ।
সীমান্ত শহরে প্যাডবোর্গে থামিয়ে দেয়া এসব লোকের গন্তব্য সুইডেন বলে জানিয়েছেন তারা। ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয়ার পর শরণার্থীরা পায়ে হেটে সুইডেনের দিকে যাত্রা শুরু করে। শরণার্থীদের অনেকেই ট্রেন থেকে নামতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। কারণ তারা ডেনমার্কে নিবন্ধিত হতে ইচ্ছুক নন।
শরণার্থীদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য হচ্ছে সুইডেন। কারণ দেশটি সিরিয়ার সব আশ্রয়প্রার্থীকে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। শুধু চলতি সপ্তাহেই প্রায় তিন হাজার অভিবাসী ডেনমার্কে প্রবেশ করেছেন। এদের বেশিরভাগই ডেনমার্কে নিবন্ধিত হতে রাজি নন। তারা ডেনমার্ক হয়ে সুইডেন কিংবা জার্মানিতে যেতে আগ্রহী।
রেল কর্মকর্তার বলছে, জার্মানি থেকে কোনো ট্রেন আসছে না। পাসপোর্ট যাচাইয়ের কারণে এ ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। ড্যানিশ পুলিশ বলছে, অভিবাসীরা ডেনমার্কে রেজিস্ট্রেশন করতে আগ্রহী নন। তাই তাদেরকে ডেনমার্ক ছাড়তে বাধা দেয়া হচ্ছে। সুইডেনে প্রবেশের আগে তাদেরকে রেজিস্ট্রেশন করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ শরণার্থী সংকটের পাশাপাশি অভিবাসন সংকট মোকাবিলা করছে। অভিবাসীরা সুইডেন মুখে যাত্রা শুরু করলে এ সংকট তৈরি হয়। এমনিতেই আমাদের ওপর চাপ আছে রাজনৈতিক আশ্রয় দেবার জন্য। এর ওপর শরণার্থী সংকট এসে যোগ হয়েছে।
ডেনমার্কের নতুন মধ্য-ডানপন্থী সরকার অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে। চলতি বছরের জুনের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর দেশটির সরকার নতুন অভিবাসীদের সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে দিয়েছে। অভিবাসীদের স্থায়ীভাবে বসবাসের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সূত্র: এএফপি
আপডেট: ১১:১০ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, শুক্রবার
চাঁদপুর টাইমস- ডিএইচ/২০১৫।