Home / চাঁদপুর / শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত-অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
dc

শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত-অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের অধীন সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ বৃহস্পতিবার ১৪ অক্টোবর বেলা ১১ টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো.দাউদ হোসেন চৌধুরী ।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব ) মো.দাউদ হোসেন চৌধুরী বলেন,‘শব্দ দূষণ কমাতে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব এবং এটা করলেই আজকের এ প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে বলে আমি মনে করি। তিনি প্রশিক্ষণের আয়োজক ও অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।’

স্বাগত বক্তব্য ও ডিজিটাল কনটেইন উপস্থাপন করেন চাঁদপুরের পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.নাজিম উদ্দিন শেখ। উপস্থাপনায় ছিলেন বিটিভি জেলা প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া জীবন।

বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-চাঁদপুর বিসিকের সহ-ব্যবস্থাপক মো.রুহুল আমিন, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ডা.সাজেদা আক্তার পলিন, চাঁদপুর মিশনরোডস্থ মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মো.আবদুল্লাহ ও কচূয়া মডেল মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম গোলাম কিবরিয়া।

চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন শেখ তিনি তার স্বাগত বক্তব্যের পরে ডিজিটাল কনটেন্ট এর মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় ইসলামের মূলনীতি, বিভিন্ন দূষণ যথা- মাটি,পানি ও বায়ু দূষণ,শব্দ দূষণের গুরুত্ব,সামুদ্রিক পরিবেশে শব্দ দূষণের কারণসমূহ ,শব্দের উৎস সৃষ্টিকারী ও প্রাকৃতিক কারণসমূহ, উচ্চ শব্দের হর্ণ, শব্দ দূষণের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড, শব্দদূষণের বিধিমালা,উল্লেখযোগ্য ধারা সমূহ, এলাকাভিত্তিক নিরব এলাকা,শহরগুলোর মধ্যে শব্দের মাত্রাতিরিক্ত কারণ,শব্দ দূষণে নির্মাণকাজ ও আইন বিধিমালা,নীতিমালা,শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের উপায়, শব্দ দূষণের বিভিন্ন বিষয়গুলো চমৎকারভাবে তিনি ডিজিটাল কনটেন্ট এর মাধ্যমে উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপস্থাপন করেন।

পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ডা.সাজেদা বেগম শব্দ দূষণে স্বাস্থ্যগত দিক এর বিষয়ে উপস্থাপনের মাধ্যমে বক্তব্য রাখে্ন।

অনেকের কানে সমস্যা হয়,কানে শুনতে পান না। যারা চালক বা বাহিরে কাজ করেন তারা এ শব্দ দূষণে ক্ষতিগ্রস্থ হন। শব্দদূষণ যেভাবে কমানো যায় আমরা সে বিষয়ে সচেতন থাকবো। যেসব যানবাহন গুলো রয়েছে তারা যেনো হাইডলিক হরণ ব্যবহার না করার সে বিষয়ে বক্তব্য দেন। শব্দ দূষণের কারণে মানুষের জীবনে অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। যেমন মানসিক সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টএ্যাটাক-এগুলোও শব্দ দূষণের অন্যতম কারণ বলে তিনি উল্লেথ করেন ।

এছাড়া শব্দ দূষণে মানুষের পেশার বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। আর সেটি হলে হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে। পরিবেশ দূষণ এবং যানবাহনের ধোঁয়া থেকে অনেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই হাইডলিক হরণ বাজানো থেকে চালকদের বিরত থাকতে হবে। যতটুকু মাত্রায় হরণ ব্যবহার করলে মানুষের ক্ষতি বা শব্দ দূষণ হবেনা ততটুকু মাত্রায় হরন বাজানো বাজাতে হবে।

শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের অধীন সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে-বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণ, কলকারখানার শ্রমিক প্রতিনিধি,রাইসমিল শ্রমিক প্রতিনিধি ও বেশ ক’জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণটি বাস্তবায়নে চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তর ও আয়োজনে ছিল পরিবেশ অধিদপ্তর .ঢাকা ।

আবদুল গনি , ১৪ অক্টোবর ২০২১