চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক ) মো.ইমতিয়াজ হোসেন বলেন,‘ একটু সচেতন হলেই আমরা শব্দ দূষণ থেকে রক্ষা পাবো। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে ও প্রাণিকুল এর মধ্যে শব্দ দূষণের প্রতিরোধ ক্ষমতা পার্থক্য রয়েছে|মানুষের মধ্যে ৬৫ ডিসিমেলের অধিক হলেই মানুষ বধির হতে শুরু করে। তাই আমাদের সবাইকে সব রকমের শব্দ দূষণ থেকে রক্ষা পেতে সচেতন শুধু চালক এবং তার সহযোগীরা হলেই হবে না।’
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক ) মো.ইমতিয়াজ হোসেন ‘ শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের অধীন পরিবহন চালক ও সহযোগীদের সমন্বয়ে সমাজ সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় চাঁদপুর সদর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে সভাপতিত্ব কালে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরোও বলেন,‘ সচেতন হলেই আমাদের আশেপাশে ও অন্যান্য যে বিষয়গুলো রয়েছে যেগুলোর বিষয়ে সচেতন হলে শব্দ দূষণের কারণে আমাদের নানা শারীরিক সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারি। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে া’
স্বাগত বক্তব্য ও ডিজিটাল কনটেইন উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন শেখ। উপস্থাপনায় ছিলেন বিটিভি জেলা প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া জীবন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়,উপজেলা চেয়ারম্যান মো.নূরুল ইসলাম দেওয়ান , চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত হোসেন, চালকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।
উপ-পরিচালক উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে ডিজিটাল কনটেন্ট এর মাধ্যমে শব্দ দূষণের কারণ, প্রতিকার , সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ, আইনের ধারা , দূষণ প্রকৃতি উপস্থাপন করেন। বক্তাগণ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাপক আলোচনার বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন।
বক্তাগণ বলেন, শব্দ দূষণে কোনো গর্ভবতী মা যদি বাহিরে বের হয়-তাহলে সে শব্দ দূষণে ওই অনাগত শিশুটি যে মেধা নিয়ে পৃথিবীতে আসার কথা ,সে আ শাতীত নয় । দেখা গেছে শব্দ দূষণে সেই শিশুটি সে রকম মেধা নিয়ে জন্মায় নি। অনেক শিশু বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর মতো জন্ম গ্রহণ করে।
অনেকের কানে সমস্যা হয়, কানে শুনতে পান না। যারা চালক বা বাহিরে কাজ করেন তারা এ শব্দ দূষণে ক্ষতিগ্রস্থ হন। আবার অনেকের মেজাজ খিটে খিটে থাকে। শব্দদূষণ যেভাবে কমানো যায় আমরা সে বিষয়ে সচেতন থাকবো। যেসব যানবাহন গুলো রয়েছে তারা যেনো হাইডলিক হরণ ব্যবহার না করার সে বিষয়ে আহবান থাকলো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন,‘শব্দ দূষনের কারণে মানুষের জীবনে অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। যেমন মানসিক সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টএ্যাটাক, এগুলো কিন্তু শব্দ দূষণের একটি অন্যতম কারন।
এছাড়া শব্দ দূষণে মানুষের পেশার বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। আর সেটি হলে হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে। পরিবেশ দূষণ এবং যানবাহনের ধোঁয়া থেকে অনেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই হাইডলিক হরণ বাজানো থেকে চালকদের বিরত থাকতে হবে। যতটুকু মাত্রায় হরণ ব্যবহার করলে মানুষের ক্ষতি বা শব্দ দূষণ হবেনা ততটুকু মাত্রায় হরন বাজানো বাজাতে হবে।
প্রশিক্ষণটি বাস্তবায়নে চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তর ও আয়োজনে পরিবেশ অধিদপ্তর করেছে ।
আবদুল গনি ও কবির হোসেন মিজি , ১২ অক্টোবর ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur